বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জামাতা দোষী হলেও মেয়ে হত্যার বিচার চান মিতুর মা শাহিদা

বাবুল-মিতু দম্পতির দুই সন্তান ভালো নেই

প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জামাতা দোষী হলেও মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করেছেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুর মা শাহিদা মোশাররফ। গতকাল বুধবার রাজধানীর খিলগাঁওয়ে নিজ বাসায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিচার কই, বিচার তো দেখি না। আমি দায়ী হলে আমার বিচার হোক, বাবুল দায়ী হলে ওরও বিচার হোক। কিন্তু বাবুল দায়ী হবে কেন?
গতকাল দুপুরে বাসায় ছিলেন না বাবুল আক্তার। ছিলেন না তার শ্বশুর মোশাররফ হোসেনও। স্ত্রী হত্যার পর থেকে খিলগাঁওয়ের শ্বশুরের বাসায় সন্তানদের নিয়ে বসবাস করছেন সদ্য অব্যাহতি পাওয়া এসপি বাবুল আক্তার। গতকাল দুপুর পর্যন্ত বাবুল আক্তার ও তার শ্বশুর মোশাররফ হোসেন কোথায় আছেন এ ব্যাপারে শাহিদা মোশাররফ কিছু বলতে পারেননি। এদিকে গতরাত ৮টায় মোশাররফ হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
শাহিদা মোশাররফ সাংবাদিকদের জানান, গতকাল দুপুর পর্যন্ত পুলিশ তাদের সঙ্গে মিতু হত্যাকা- নিয়ে কোনো কথা বলেনি। বাবুল-মিতু দম্পতির দুই সন্তান ভালো নেই বলে জানান শাহিদা। তিনি বলেন, মিতু যখন খুন হয় ওর রক্তে ছেলেটা মাখামাখি হয়ে গিয়েছিল। ও কথাই বলত না। এখনো স্কুলে যায় না। কদিন একটা কোচিংয়ে পাঠিয়েছিলাম। খালি ভয় পায়। মেয়েটা প্রায়ই এসে বুকে মুখ গুঁজে। মায়ের আদর কি নানি দিতে পারে? মেয়ের খুনের ঘটনায় কাউকে সন্দেহ করেন কি না বা বাবুল আক্তার কিছু বলেন কি না, জানতে চাইলে শাহিদা বলেন, বাবুল এমনিতেও কম কথা বলে। এখন ও কিছু বলে না।
এর আগে গত মঙ্গলবার চাকরি থেকে বাবুল আক্তারকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বাবুল আক্তারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। যদিও বাবুল ও তার শ্বশুর এর আগে বলেছিলেন, স্বেচ্ছায় নয়, বাধ্য হয়ে তিনি পদত্যাগপত্রে সই করেছিলেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে বদলি হয়ে আসার দুই দিন পর গত ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামের ওআর নিজাম রোডে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে গত ২৪ জুন গভীর রাতে খিলগাঁওয়ের ভূঁইয়াপাড়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবুলকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর আবার তাকে শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়। ওই জিজ্ঞাসাবাদের সময় পদত্যাগপত্রে সই করেন বাবুল। প্রায় দেড় মাস সেই পদত্যাগপত্র পুলিশ সদর দপ্তরে থাকার পর মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এর আগে ৩ আগস্ট বাবুল আক্তার তাঁর কর্মস্থল পুলিশ সদর দপ্তরে গিয়ে লিখিতভাবে কাজে যোগ দিতে চান। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাকে জানিয়ে দেন, তাঁকে আর কাজে যোগদান করতে দেওয়া সম্ভব নয়। পরদিন ৪ আগস্ট বাবুল পুলিশ সদর দপ্তরে ডিআইজি (প্রশাসন) বরাবর লিখিতভাবে যোগদানপত্রও জমা দিয়েছিলেন। শাহিদা মোশাররফ আরো বলেন, স্ত্রী হারানোর পর থেকেই মানষিকভাবে বিপর্যস্ত বাবুল আক্তার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন