থামছে না সঙ্ঘাত থেকে বাঁচতে ভারত-থাইল্যান্ডে পালানো মিয়ানমারের শরণার্থীর ঢল। উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ শরণার্থী প্রবেশ থামানোর চেষ্টা করছে। তারা আশঙ্কা করছে, এভাবে নিরবচ্ছিন্ন শরণার্থীর যাত্রা এবং অস্থিরতা চলতে থাকলে শরণার্থীর ঢল নামবে। গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, সেনা অভ্যুত্থান এবং বিক্ষোভকারীদের নৃশংস নিপীড়নের ফলে মিয়ানমারের সীমান্তজুড়ে সঙ্কট বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাজার হাজার শরণার্থী প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড এবং ভারতে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছে। গত সপ্তাহে জাতিসংঘের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা মিয়ানমার ব্যর্থ রাষ্ট্রের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন। কোনো পদক্ষেপ না নিলে দেশটিতে রক্তগঙ্গা বয়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গার্ডিয়ানের খবরে আরো বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পাশবিক নীতির বিপর্যকর মানবিক মূল্য রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে দৃশ্যমান। দেশটির শরণার্থী ক্যাম্পে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। ২০১৭ সালে সেনাবাহিনী নৃশংস হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে তারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। গত সপ্তাহে কারেন বিদ্রোহী দখলকৃত এলাকায় বিমান হামলা চালালে থাইল্যান্ড হাজার হাজার শরণার্থী প্রত্যাশীদের মিয়ানমার সীমান্তে ঠেলে দেয়। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা মিয়ানমারের অধিক সংখ্যক শরণার্থী প্রবেশের চেষ্টার বিষয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের দেশে গণ শরণার্থী চাই না। গার্ডিয়ান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন