করোনারভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সাত দিনের লকডাউনের গতকাল প্রথম দিনে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অভিযান চালিয়েছে র্যাব। এ সময় ১৩ বছরের এক কিশোরসহ ২৫ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল দুপুর ১২ টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত মোট দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।
র্যাব জানায়, গতকাল শাহবাগ থেকে কাঁটাবন সিগন্যালে দিকে যাওয়ার পথে একটি প্রাইভেটকারকে আটকানো হয়। এ সময় ওই গাড়িটে ১৩ বছরের এক কিশোর চালাচ্ছিল। তার মুখে মাস্কও ছিল না। ড্রাইভিং সিটের পাশে বসা ছিলেন ওই কিশোরের বাবা।
অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেকে দিয়ে গাড়ি চালানোর কারণ হিসেবে বাবা র্যাবকে জানান, তিনি ভালো চালাতে পারেন না। ছেলে আরও আগে থেকেই গাড়ি চালায়, এজন্য তাকে নিয়ে বের হয়েছেন। রাস্তা ফাঁকা থাকায় বাসা থেকে কিছুক্ষণ আগেই তারা বের হয়েছিলেন।
র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই ব্যক্তিকে জরিমানা করেছেন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেকে ড্রাইভিং সিট থেকে সরিয়ে র্যাবের একজন সদস্য গাড়িটিকে চালিয়ে শাহবাগ থেকে পরীবাগে তাদের বাসায় পৌঁছে দেয়। ওই ব্যক্তিসহ অকারণে ঘোরাঘুরি, মাস্ক না পরা, মোটরসাইকেলে যাত্রী বহনের অপরাধে শাহবাগ এলাকায় ২৫ জনকে জরিমানা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, রিকশাচালক, ভ্যান চালক, মোটরসাইকেল চালক, আরোহী ও যারাই মাস্ক পরছেন না তাদেরকে সচেতন করে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে এবং অনেক ক্ষেত্রে জরিমানাও করা হয়েছে। তিনি বলেন, এছাড়াও লকডাউনে যারা বিনা কারণে বাইরে ঘোরাঘুরি করছে তাদের সচেতন করা হচ্ছে যাতে তারা বাইরে না আসে।
মূলত জরিমানা করাই র্যাবের উদ্দেশ্য নয়। র্যাবের উদ্দেশ্য করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা।
সরেজমিনে দেখা যায়, দিনমজুর, রিকশাচালক, গাড়িচালক, ছোট-বড় পরিবহন কিংবা পরিবহন সংশ্লিষ্টদের অনেকেই মাস্ক পরছেন না। এ কারণে তাদের মধ্যে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ, করোনার সচেতনতা তৈরি ও জরিমানাও করছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন