লকডাউনের বিরুদ্ধে এবার বরিশালে দোকান মালিক-কর্মচারীরা বিক্ষোভ করেছেন । ‘লকডাউন মানিনা-মানবোনা’ শ্লোগান দিয়ে মঙ্গলবার তারা প্রথমে চকবাজার সড়ক অবরোধ ও পরে মিছিল নিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। তবে বরিশাল মহানগর দোকান কর্মচারী ইউনিয়ন জানিয়েছে, এ বিক্ষোভের সঙ্গে তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এদিকে লকডাউনের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার বরিশাল মহানগরীর কর্মব্যস্ততা ছিল আরো লক্ষণীয়। বড় বড় বিপণী বিতান ও যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকা ছাড়া আর কোথাও লকডাউনের কার্যকারীতা চোখে পরেনি।
দক্ষিণাঞ্চলে পোশাক বিক্রির প্রধান মোকাম বরিশাল নগরীর চকবাজার এলাকার ব্যবসায়ীরা মঙ্গলবার প্রথমে চকবাজারেই বিক্ষোভ শুরু করে। পরে নগরীর বিভিন্ন সড়কের মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে চকবাজার এসে তাদের সাথে বিক্ষোভে সামিল হন। পরে বিক্ষোভকারীরা নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গৌতম বাড়ৈ নিচে নেমে এসে বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য শোনেন। এসময় বিক্ষোভকারীরা বলেন, ঢাকায় বই মেলা সহ সবকিছু খোলা থাকলেও লকডাউনের নামে দোকানপাট বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে পথে বসার উপক্রম হয়েছে ব্যবসায়ীদের। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গৌতম বাড়ৈ তাদের বক্তব্য শুনে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার আশ্বাস দেন এবং বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
চকবাজার এলাকায় বিক্ষোভ চলাকালে ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রহিম বলেন, তারা চান দোকান খোলা রাখার নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হোক। এসময়ে তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা পরিচালনা করবেন। শেখ রহিমের দাবী, শুধুমাত্র বড় বিপণী প্রতিষ্ঠান ও পরিবহন বন্ধ থাকা ছাড়া আর কোথাও লকডাউনের কার্যকারীতা নেই।
এদিকে বরিশাল মহানগর দোকান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি স্বপন দত্তের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কতিপয় মালিক তাদের নিজেদের স্বার্থে বিক্ষোভ করেছেন। দোকান কর্মচারীরা করোনা সংক্রমণে থেকে বেঁচে থাকার নিরাপত্তা চান। সরকার জনগণের জন্য যে ভাল সিদ্ধান্ত নেবেন তারা সেটাই মেনে নেবেন।
বিক্ষোভ চলাকালে চকবাজারের কয়েকজন কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তারা বিক্ষোভে অংশ নেননি। দোকান মালিকরা বহিরাগতদের এনে তাদেরকে কর্মচারী পরিচয় দিয়ে ‘মালিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’ নাম দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন