নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জ ঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে কোস্টার ট্যাংকারের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় ৩৬ যাত্রাীকে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
গতকাল মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দিনগত রাতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করেন বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপ-পরিচালক (নৌ নিট্রা) বাবু লাল বৈদ্য।
মামলায় হত্যার উদ্দেশে বেপরোয়া গতিতে পণ্যবাহী জাহাজ চালিয়ে লঞ্চটি ডুবিয়ে ৩৪ জনের প্রাণহানি ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে মামলায় আসামি হিসেবে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।
মামলার বাদী বাবু লাল বৈদ্য জানান, পেনাল কোড ২৮০, ৩০৪, ৩৩৭, ৩৩৮, ৪২৭, ৪৩৭ ধারাসহ ইনল্যান্ড শিপিং অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ এর ৭০ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। হত্যার উদ্দেশে ও বেপরোয়া গতিতে নৌযান চালিয়ে ৩৪ জনকে হত্যা সংঘটিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় আসামি হিসেবে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলাটি দায়ের করেছেন। এতে হত্যার উদ্দেশে বেপরোয়া গতিতে জাহাজ চালিয়ে হত্যা সংঘটিত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই দোষীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর নির্মাণাধীন সৈয়দপুর-মদনগঞ্জের শীতলক্ষ্যা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এসকেএল-৩ নামের কোস্টার ট্যাংকারের ধাক্কায় সাবিত আল হাসান নামের নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জগামী লঞ্চটি অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। মঙ্গলবার ৬ এপ্রিল দুপুর পর্যন্ত ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ঘটনার ২ দিন পেরিয়ে গেলেও অদ্যাবধি জব্দ হয়নি ঘাতক এসকেএল-৩ নামের কোস্টার ট্যাংকার জাহাজটি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন