শীতলক্ষ্যায় লঞ্চ ডুবিতে ৩৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। বিআউডবিøউটি’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। তবে ঘটনার চতুর্থ দিনেও আটক হয়নি ঘাতক কার্গো জাহাজটি।
এদিকে জানা গেছে, পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে যাত্রীবাহী লঞ্চটি ডুবিয়ে দেয়া এসকে লজিস্টিকস কার্গো জাহাজটির মালিক বাগেরহাট-২ আসনের আ.লীগের এমপি শেখ সারহান নাসের তন্ময়। বিআইডবিøউটিএ’র মামলায় হত্যার উদ্দেশে বেপরোয়া গতিতে লঞ্চটি ডুবিয়ে ৩৪ জনের প্রাণহানি ঘটানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে আসামির তালিকায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, বিআইডবিøউটিএ’র কর্মকর্তা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। হত্যার উদ্দেশে বেপরোয়া গতিতে জাহাজ চালিয়ে হত্যা সংঘটিত করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে। দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
মামলার বাদী বাবু লাল বৈদ্য জানান, এ মামলায় হত্যার উদ্দেশে ও বেপরোয়া গতিতে নৌযান চালিয়ে ৩৪ জনকে হত্যা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে আসামি হিসেবে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
জানা যায়, গত রোববার সন্ধ্যা ৫টা ৫৬ মিনিটে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল ছেড়ে যায় এম এল সাবিত আল হাসান নামে যাত্রীবাহী লঞ্চ। তখনও কালবৈশাখীর ঝড় শুরু হয়নি। লঞ্চটির ধারণক্ষমতা ৬৮ জন হলেও সেদিন তারও কম যাত্রী নিয়ে রওয়ানা হয়েছিল বলে জানান, লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান রাজা। অনুমানিক সোয়া ৬টার দিকে মদনগঞ্জ-সৈয়দপুর এলাকায় শীতলক্ষ্যায় নির্মাণাধীন সেতুর অদূরে এসকেএল-৩ (রেজিস্ট্রেশন নং- ০১-২৬৪৩) নামে একটি কার্গো জাহাজ পেছন থেকে ধাক্কা দেয় যাত্রীবাহী লঞ্চটিকে। সে সময় প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, লঞ্চটিকে ঠেলে অন্তত ২০০ মিটার দূরে নিয়ে গিয়ে ডুবিয়ে দেয় কার্গো জাহাজটি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন