সম্প্রতি ঢাকায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিবিরোধী বিক্ষোভে আটকের পর নতুন করে আলোচনায় আসেন ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া রফিকুল ইসলাম মাদানী। সেসময় তাকে ছেড়ে দেওয়া হলেও এরপর রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্যের দায়ে তাকে আটক করা হয়। গত বুধবার নেত্রকোনোয় নিজ গ্রামের বাড়ি থেকে ৠাব তাকে আটক করে।
তার বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। এই মামরায় আদালতের মাধ্যমে তাকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।তার কণ্ঠ, শারীরিক গঠন ও মুখাবয়বের কারণে তাকে কম বয়েসী ছেলেদের মতো মনে হয়। তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, ১৯৯৪ সালে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলায় তার জন্ম। সে হিসাবে তার বর্তমান বয়স ২৭ বছর।
রফিকুল ইসলাম নেত্রকোনার একটি মাদ্রাসা থেকে কোরআনে হাফেজ হওয়ার পর ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি মাদ্রাসায় ভর্তি হন। সেখানে কয়েক বছর পড়াশোনা শেষে গাজীপুরের কোনাবাড়িতে একটি মাদ্রাসায় চলে আসেন। পরে সেখান থেকে ঢাকার বারিধারা এলাকায় অবস্থিত একটি মাদ্রাসা থেকে তিনি দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স সমমানের) সম্পন্ন করেন। জানা গেছে, ১৪-১৫ বছর বয়স থেকেই রফিকুল ইসলাম নেত্রকোনার বিভিন্ন এলাকায় ওয়াজ করতেন। তখন থেকেই তিনি আঞ্চলিকভাবে পরিচিত হয়ে উঠেন। কয়েক বছরের মধ্যেই নেত্রকোনার আশপাশের জেলাগুলোতে তার পরিচিতি গড়ে উঠে। গত কয়েক বছরের মধ্যে রফিকুল ইসলাম মাদানী জাতীয়ভাবে বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছেন।
গাজীপুরের বাড়িয়ালীতে রফিকুল ইসলাম মাদানীর একটি মাদ্রাসা রয়েছে। বাড়িয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে অবস্থিত ওই মাদ্রাসার নাম মারকাজুন নুর আল ইসলামিয়া। হাফেজ রফিকুল ইসলাম মাদানী ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও পরিচালক। এক বছর আগে কালীগঞ্জের নাগরিক এক প্রবাসীর বাড়ি ভাড়া নিয়ে মাদানী ওই মাদ্রাসাটি চালু করেন। মাদ্রাসাটিতে নুরানী মক্তব, নাযেরা, হিফজ বিভাগ ছাড়াও প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করানো হয়। রফিকুল ইসলামের চার ভাই ও তিন বোন। সূত্র : বিবিসি বাংলা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন