শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সেতুমন্ত্রীর ভাই-ভাগনে প্রধান আসামি, আ.লীগের দু’গ্রুপের পাল্টাপাল্টি মামলা

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০২১, ৬:১২ পিএম

কোম্পানীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনার দুইদিন পর সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই সাহাদাত ও ভাগনে রাহাতকে প্রধান আসামি করে পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। এর আগেও বেশ কয়েক বার দু’গ্রুপের বিবদমান দ্বন্দ্ব সংঘাতের জেরে অনুসারীরা আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেন।

গত (৭ এপ্রিল) রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দু’টি দায়ের করেন মির্জা অনুসারী আবুল হাশেম ও উপজেলা আ.লীগ অনুসারী করিম উদ্দিন শাকিল। এই পাল্টাপাল্টি মামলায় আ.লীগের স্থানীয় ২১৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে হুমকি, ভয়-ভীতি প্রদর্শন, ক্ষতি সাধনসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.রবিউল হক পাল্টাপাল্টি মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, মামলার আলোকে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

থানা সূত্রে জানা গেছে, বিস্ফোরক আইনসহ আরো কয়েকটি ধারা উল্লেখ করে কাদের মির্জার অনুসারী পৌরসভার বৌদ্দনীর বাড়ির বাসিন্দা আবুল হাশেম সেতুমন্ত্রীর ভাগনে ফখরুল ইসলাম রাহাতকে (৩৫) প্রধান আসামি এবং আরেক ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জুকে (৫২), কে তৃতীয় আসামি করে ১৩৫জনের নাম উল্লেখ করে ৪০-৫০জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করে। অপরটিতে, একই ধারায় উপজেলা আ.লীগের অনুসারী পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছাত্রলীগ কর্মী করিম উদ্দিন শাকিল (২৪) সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট সাহাদাত হোসেনকে (৫৫) প্রধান এবং কাদের মির্জার ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাশিককে (২৫), দ্বিতীয় আসামি করে ৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০-৩০জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার করালিয়া এলাকায় গত (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মির্জা কাদের ও উপজেলা আ.লীগ অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এই পাল্টাপাল্টি মামলা দায়েরের ঘটনা ঘটে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন থেকে কোম্পানীগঞ্জে কাদের মির্জা ও উপজেলা আ.লীগ কমিটি সমর্থিতদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে গত (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মির্জা কাদেরের অনুসারী রাসেল উপজেলা আ.লীগ কমিটির অনুসারী শাকিল ও রাহীমের ওপর পৌরসভার করালিয়া এলাকার চক্ষু হাসপাতালের সামনে হামলা চালায়। এ সময় রাহিম-শাকিল প্রতিরোধ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের পাঁচজন আহত হন। এ সংঘর্ষে মেয়র অনুসারী ২জন ও উপজেলা আ.লীগ অনুসারী ৩জন আহত হয়। উপজেলা আ.লীগ কমিটির অনুসারী কাদের মির্জার ভাগনে ফখরুল ইসলাম রাহাত অভিযোগ করেন, ওই দিন সংঘর্ষ শেষে মির্জা কাদেরের অনুসারীরা পৌরসভা কার্যালয় থেকে গিয়ে হামলার শিকার ছাত্রলীগ কর্মী শাকিলের বাড়িতে ফের ইট,পাটকেল নিক্ষেপ এবং হামলা চালায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন