যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অ্যালেন শহরের এক বাংলাদেশী পরিবারের মর্মান্তিক হত্যা-আত্মহত্যার ঘটনায় নিহত ৬ জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। অত্যন্ত বেদনা-বিধুর পরিবেশে হত্যার শিকার মা-বাবা-বোন আর নানীর কবরের কাছেই ঘাতক দুই ভাইকে কবর দেয়া হয়েছে।
টেক্সাস থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে স্থানীয় ডালাস সিটি সংলগ্ন অ্যালেন মসজিদে তাদের অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি ও বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন অ্যালেন মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমান। নিহত তৌহিদুল ইসলামের বড় ভাই হায়দার আলী ফ্লোরিডা থেকে এবং আইরিন ইসলামের ভাই নিউইয়র্ক থেকে টেক্সাসে গিয়ে জানাজা নামাজ ও লাশ দাফনে অংশ নেন। এছাড়াও জানাজার সময় ওয়াশিংটন ডিসি থেকে নিহত তৌহিদের স্বজনদের সাথে ভার্চুয়ালি কথা বলেন ওয়াশিংটন ডিসিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম। রাষ্ট্রদূতের প্রতিনিধি হিসেবে জানাজায় যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (কন্স্যুলার) হাবিবুর রহমান। কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে যোগ দেন হাসমত মবিন, আদর চৌধুরী, শাহীন হাসান, ওয়ালি রহমান, কামরুল আহসান, মির্জা শহীদ, সাঈদ চৌধুরী হারুন প্রমুখ।
এদিকে অ্যালেন সিটি পুলিশের ময়নাতদন্তকারী কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ টেক্সাসের সভাপতি হাসমত মোবিন মিডিয়াকে জানিয়েছেন, মা-বাবা-বোন-নানীর জন্যে দুটি করে মোট ৮টি বুলেট ব্যবহার করা হয়। এরপর দুটি বুলেট দিয়ে একভাই আরেক ভাইকে হত্যা করেছে।
অপরদিকে, বুধবার সন্ধ্যায় টেক্সাসের ডালাস সংলগ্ন অ্যালেন সিটির সেলিব্রেশন পার্কে নিহতদের স্মরণে ‘মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি’ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিটি মেয়র কেন ফাকসহ দু’শতাধিক শোকার্ত মানুষের সমাগম ঘটে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় নিহতদের বাড়ির সামনে আরেকটি শোক-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন