রাজধানীর বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে পটল, বেগুন, শিম, ধুন্দল, বরবটি, ঢেঁড়স, লাউ, টমেটোসহ প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, করোনায় বিধিনিষেধ আরোপের কারণে সবজির গাড়ি কম আসায় এই দাম বেড়েছে।
এদিকে এক সপ্তাহের লকডাউনের দ্বিতীয় দিন ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমলেও এখন তা আবার বেড়েছে। একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি আবার আগের দামে ফিরে গেছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনালী ও লাল লেয়ার মুরগির দাম।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। শবেবরাতের আগে থেকেই এই দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার। তবে করোনায় বিধিনিষেধ আরোপের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০ টাকায় নেমে এসেছিল। গতকাল বৃহস্পতিবারও ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০ টাকা বিক্রি হয় বেশিরভাগ বাজারে। ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি গত মঙ্গলবার সোনালী মুরগির দামও কমে। ৩৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া এই মুরগির দাম একবারে কমে ২৬০ থেকে ২৪০ টাকায় নেমে আসে। গত কয়েকদিনে এই মুরগির দাম আর পরিবর্তন হয়নি। আর দীর্ঘদিন ধরে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া লাল লেয়ার মুরগি এখনো ওই দামেই বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সজনের ডাটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। গত সপ্তাহে সজনের ডাটার কেজি বিক্রি হয় ৮০ থেকে ১০০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে একমাত্র এই সবজিটির দাম কমেছে। অপরদিকে পটল, বরবটি, বেগুন, ঢেঁড়সের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বরবটির দাম বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকা হয়েছে। ঢেঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
দাম বাড়ার তালিকায় থাকা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। গত সপ্তাহে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শিমের দাম বেড়ে ৫০ থেকে ৬০ টাকা হয়েছে। এর পাশাপাশি পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে ছিল।
বেশিরভাগ সবজির দাম বাড়লেও ফুলকপি ও বাঁধাকপি আগের মতো ৩০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ধুন্দল, চিচিঙ্গা কিনতেও ভোক্তাদের ৫০ টাকার ওপরে গুনতে হচ্ছে। বাজার ও মানভেদে ধুন্দলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে চিচিঙ্গা। শশা আগের সপ্তাহের মতো ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
বাজার থেকে এখন শাক এক আঁটি কিনতে ১০ টাকা বা তার বেশি গুনতে হচ্ছে। পালং শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে লালশাক, সবুজ শাক, পাট ও কলমিশাক। পুঁই শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এক আঁটি ডাটা কিনতে লাগছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন