তাহরীকে খাতমে নুবুয়্যাত বাংলাদেশের আমীর আল্লামা মুফতী ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী পীর সাহেব জৌনপুরী বলেছেন, কুরআন সুন্নাহর ইলম অর্জন করলে আল্লাহ তায়ালা মানুষের সম্মান, মর্যাদা সমুন্নত করেন। অপরদিকে ইলম অর্জন করার পর যদি অন্তরে অহমিকার সৃষ্টি হয় তাহলে আল্লাহ ইলমের নূর ছিনিয়ে নেন। একজন আলেম যদি পাপাচারে লিপ্ত হয়ে নিজের চরিত্র নষ্ট করে তখন আল্লাহ তার আকলের নূর কেড়ে নেন। তাই একজন মুহাক্কেক আলেম হতে হলে ইলম চর্চা ও চারিত্রিক উৎকর্ষতার পাশাপাশি সকল বিষয়ে প্রজ্ঞা রাখা আবশ্যক। গত বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জের আব্বাসী মঞ্জিল দরবার শরীফে মারকাজু তাহরীকে খাতমে নুবুয়্যাত কারামতিয়া মাতলাউল উলুম মাদরাসার খতমে বুখারী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বুখারী হাদিস সম্পর্কে বলেন, বুখারী শরীফ পৃথিবীর সবচেয়ে বিশুদ্ধতম হাদিসের কিতাব। তাই খতমে বুখারী অনুষ্ঠান অত্যন্ত বরকতপূর্ণ। এর বাইরেও সহিহ অনেক হাদীস সিহা সিত্তাসহ অন্যান্য হাদিসের কিতাবে রয়েছে। যারা এটা অস্বীকার করে তারা গোমরাহ।
পীর সাহেব জৌনপুরী বলেন, যদি কেউ প্রকৃত মানুষ হয়ে পরকালে মুক্তি পেতে চায় তাহলে পরিপূর্ণ মু’মিন হতে হবে। আর একজন সৎ, যোগ্য, দক্ষ ও উন্নত চারিত্রিক গুনাবলী সম্পন্ন খাটি মু’মিন ইসলামী আন্দোলনের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে বিবেচিত। তাই যোগ্য আলেম ও সুনাগরিক হওয়ার জন্য মাদরাসা শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- মাওলানা সাইয়্যেদ মুহাম্মদ ইহসানুল্লাহ আব্বাসী, মাওলনা ক্বারী সাইয়্যেদ মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ আব্বাসী, পীরজাদা সাইয়্যেদ মুস্তফা আহমদ আমিন আকিব আব্বাসী। সঞ্চালনায় ছিলেন মাওলানা আরিফুর রহমান। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন