মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে রোজাদারদের সম্মানে প্রতি বছরের মতো এবারও রোজার মাস শুরুর কয়েকদিন আগে থেকেই ক্রেতাদের সুবিধা দেয়ার লক্ষ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের বিশেষ মূল্য ছাড় প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন আরব আমিরাতের ব্যবসায়ীরা। এতে পিছিয়ে নেই প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাও। এ মর্মে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের অধিকাংশ দোকান বা সুপার মার্কেটে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে মূল্য ছাড়ের সাইন বোর্ড, ব্যানার ও পোস্টার। আবার শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মসজিদের সামনে এ রকম পোস্টার বা বুকলেট বিতরণ করতে দেখা যায়। তাছাড়া বাসার দরজায়ও পৌঁছে দেয়া হচ্ছে এ রকম পোস্টার ও হ্যান্ডবিল। এ যেন আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভে সিয়াম সাধনার সংযমী মানুষদের প্রতি ব্যবসায়ীদের আগাম শ্রদ্ধাবোধের বহিঃপ্রকাশ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একদিকে করোনাকালীন সময় অন্যদিকে খাদ্যপণ্য অনুৎপাদনশীল দেশ আরব আমিরাত। কারণ মরুভ‚মির দেশ। তবে ছিটেফোটা কিছু উৎপাদন হয় কিছু কিছু এলাকায়, তাও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। ফলে দেশটিতে চাহিদা পূরণে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য আমদানি করতে হয় ভারত, পাকিস্তান, চীন, বাংলাদেশ, ভুটান, থাইল্যান্ড, নেপাল ও মিয়ানমারসহ উৎপাদনশীল অন্যান্য দেশ থেকে। তারপরও খাদ্যপণ্য মূল্যের তেমন ঊর্ধ্বগতি নেই আরব আমিরাতে। সারা বছরই দ্রব্যমূল্য থাকে সীমিত এবং সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে।
অথচ বাংলাদেশ খাদ্যপণ্য উৎপাদনশীল দেশ হওয়া সত্তে¡ও বছরের বিশেষ বিশেষ সময় ছাড়াও যেন সারাবছর মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা অপেক্ষায় থাকেন এ মাসটির জন্য। আবার খাদ্যপণ্য মূল্য বাড়ানোর অজুহাতেরও যেন শেষ নেই তাদের। আর রমজান আসলে আমিরাতে মূল্য ছাড়ের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েন ব্যবসায়ীরা। এদেশটিতে মাহে রমজানেই নয় সারাবছরই বাজার মনিটরিং করতে তেমন প্রয়োজন হয় না প্রশাসনের লোকদের। সরকারি আইনের প্রতিও সকলেরই রয়েছে অপার শ্রদ্ধাবোধ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন