শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

নদী বাঁচলে বাঁচবে দেশ

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০৩ এএম

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। নদ-নদী আমাদের প্রকৃতি ও জীবনযাত্রার এক অবিচ্ছেদ্য উপাদান। সভ্যতার আধুনিকায়ন ও সময়ের পরিক্রমায় যাতায়াত খাতে অভাবনীয় উন্নতি ঘটলেও একটা সময় পর্যন্ত নৌপথই ছিল একমাত্র মাধ্যম। তাছাড়া, কৃষিকাজ এবং শিল্প ও কলকারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের জাতীয় অর্থনীতির প্রত্যাশিত সমৃদ্ধির ক্ষেত্রেও নদ-নদীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত দূষণ, অবৈধ দখল এবং অবাধে মাটি ও বালু উত্তোলনের কারণে নদীমাতৃক বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নদী পুরোপুরি অস্তিত্ব হারিয়েছে। অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে আরও অনেক নদী। প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ গৃহস্থালি, শিল্প ও রাসায়নিক বর্জ্য, বিভিন্ন নৌযানের পরিত্যক্ত তেল এবং অপচনশীল পলিথিন ও প্লাস্টিক দূষণকে ত্বরান্বিত করে উদ্বেগজনক হারে কমাচ্ছে নদনদীর গভীরতা। আবার দখলদারদের দৌরাত্ম্যে নষ্ট হচ্ছে নদীর স্বাভাবিকতা। স্থায়ী ও অস্থায়ী বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে ওঠায় পাল্টে যাচ্ছে নদ-নদীর গতিপথ। সেইসাথে প্রভাবশালী মহলের অবাধে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনের মহোৎসব তো চলছেই। দূষণের ফলে নদী নির্ভর মানুষের আর্থিক ও স্বাস্থ্যগত সমস্যার পাশাপাশি দেশের জাতীয় আয়, জলজ জীব ও রূপ বৈচিত্র্যের উপরও পড়ছে চরম নেতিবাচক প্রভাব। পানি বিষাক্ত হওয়ায় বিলুপ্ত হচ্ছে দেশীয় মৎস্য প্রজাতি। তাছাড়া, নাব্য সঙ্কটে কৃষিকাজের পাশাপাশি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নৌযানগুলোর স্বাভাবিক চলাচল। পাড় ভেঙে মানুষের জমি ও ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। অবস্থার উত্তরণে আইনের কঠোর প্রয়োগে নদীগুলোকে দখলদারমুক্ত করে সকল ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, সকল শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ইটিপি সম্পূর্ণ কার্যকর করা এবং যে কোনো বর্জ্য থেকে নদীগুলোকে সুরক্ষিত করতে হবে তাছাড়া, দখল-দূষণের কবল থেকে নদী রক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে সরকার, গণমাধ্যম ও সংশ্লিষ্টদের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।

আবু ফারুক
বনরুপা পাড়া, বান্দরবান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন