সিলেটের বিশ্বনাথে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগ নেতা মো: ইন্তাজ আলী ও তার পরিবারকে জোর পূর্বকভাবে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। ইন্তাজ আলী শ্রীধরপুর গ্রামের মৃত জাকির মামনের পুত্র। তার মুক্তিযোদ্ধার নং-০১৯১০০০৫০৫৭। ঘটনাটি বিশ্বনাথ পৌর এলাকার শ্রীধরপুর গ্রামে ঘটেছে। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা মো: ইন্তাজ আলী রোববার সকালে সিলেট পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, গত ২৬ শে এপ্রিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মুদির বাংলাদেশ সফর ঠেকাতে হেফাজতের তান্ডব দেখিয়া বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত মনে করে তাড়া হুড়ো করে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগ পরিবারকে জোর পূর্বকভাবে সমাজচ্যুত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শ্রীধরপুর গ্রামের মৃত মতছিন খানের পুত্র বিএনপি নেতা সোলেমান খান বাবুল (৫৩), মৃত রুস্তুম খানের পুত্র, বিএনপি নেতা আজমল খান (৪৩), মৃত হারিছ খানের পুত্র ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মশাহিদ খান (৬০), মৃত আছাব খানের পুত্র, আজাদ খান (৬০), মৃত মুহিবুর রহমান খানের পুত্র, আহমদ খান, মৃত আনোয়ার খানের পুত্র জামাত নেতা দিলদার খান (৪০), মৃত মুহিব খানের পুত্র, মুজিবুর রহমান খানকে (৫৫) অভিযুক্ত করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ, প্রায় ৬ বছর যাবৎ শ্রীধরপুর জামে মসজিদের কার্যকরি কমিটির সদস্য ছিলেন ইন্তাজ আলী। গত ২৮ এপ্রিল রাত ১০ টার দিকে ওই মসজিদ কার্যকরি কমিটির সভাপতি আজাদ খান মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাকে মসজিদ কমিটি ও পঞ্চায়েত থেকে সমাজচ্যুতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পর দিন তিনি পঞ্চায়েতের মুরব্বি তমছির আলীর কাছে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা কিছুই জানেনা বলে জানান। প্রায় ৭০টি পরিবার নিয়ে শ্রীধরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত গঠিত। এই ৭০ পরিবারের মধ্যে কয়েক জন জামাত বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাকে মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগ পরিবারের লোক হওয়ায় তারা এ ষড়যন্ত্র করেছে। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা ইন্তাজ আলীর মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে মসজিদের মোতাওয়াল্লি আজাদ খান এ প্রতিবেদককে জানান, একটি বিরোধের ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা ইন্তাজ আলীকে জানালে তিনি কোন সদুত্তর না দেয়ায় তাকে পঞ্চায়েত থেকে বাদ দেয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন