দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় রোববার দুপুরের পূর্ববর্তী ৪৮ ঘণ্টায় সরকারী হিসেবে আরো ২৬৫ জনের দেহে করেনা পজিটিভ সনাক্তের মধ্যে দিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১২ হাজার ৫১৫ জনে। স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমিত হিসেবে এসময়ে নতুন করে ৪১ জন সহ এ অঞ্চলে মোট সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৮০৮ জন। সুস্থ্যতার হার ৮৬.৩৫% । য ইতোপূর্বে ৯৮%-এর বেশী ছিল। তবে গত ৪৮ ঘন্টায় দক্ষিণাঞ্চলে সরকারীভাবে করোনা সংক্রমনে কোন মৃত্যুর কথা জানান না হলেও ইতোপূর্বেই ২২৩ জন মারা গেছেন। এ অঞ্চলে মৃত্যু হার এখনো ১.৭৮%। রোববার সকাল থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত দক্ষিনাঞ্চলের ৬ জেলায় আরো ৬ হাজার ২২০ জন কোভিড ভেক্সিনের ২য় ডোজ গ্রহন করেছেন। এনিয়ে গত ৮ এপ্রিল থেকে ২ ডোজ গ্রহনকারীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৪,৭১৯ জনে।
গত ৪৮ ঘন্টায় সংক্রমিত ২৬৫ জনের মধ্যে বরিশালেই আক্রান্ত ১৫৮ জন। যার মধ্যে মহানগরীতে আক্রান্ত প্রায় ১২৫। ফলে বরিশাল জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৫,৭১৯ জনে। মারা গেছেন ৯৫ জন। এসময়ে পটুয়াখালীতে ১৬ জন সহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১,৯১০। মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের। ভোলাতে গত দুদিনই ২৭ জন করে ৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এপর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১,৩৫৭। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। পিরোজপুরেও গত ৪৮ ঘন্টায় ১৬ জন সহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১,৩৮২ জনে। মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। বরগুনাতে এসময়ে আরো ৬ জন আক্রান্তের ফলে জেলায় মোট সংখ্যাটা দাড়িয়েছে ১,১২৮ জনে। মারা গেছেন ২২ জন। আর সবচেয়ে ছোট জেলা ঝলকাঠীতে গত ৪৮ ঘন্টায় নতুনকরে ১৫ জন আক্রান্তের ফলে মোট সংখ্যা ১ হাজার ১৯ জনে উন্নীত হয়েছে। মারা গেছেন ২৩ জন।
শণিবার দুপুরের পূববর্তি ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণাঞ্চলে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫১ জন। যা আগের ২৪ ঘন্টায় ছিল ১১৪। বরিশাল মহানগরী করোনার ভয়াবহ আতুর ঘরে পরিনত হয়েছে ইতোমধ্যে। দক্ষিনাঞ্চলে মোট জনসংখ্যর মাত্র ৬% জনবসতির এ নগরীতে বিভাগে মোট আক্রান্তের প্রায় ৪৫% সংক্রমমিত হয়েছেন। আর এ অঞ্চলে যে ২২৩ জন করোনা সংক্রমনে মারা গেছেন, তার ৫৫ জনই এ নগরীতে।
স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্রের মতে রোববার সকালের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ সহ দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় ৪৬৪ জনের নমুনা পরিক্ষায় ১৫১ জনের দেহে করোনা পজিটিভ সনাক্ত হয়েছে। এখনো দক্ষিণাঞ্চলে সনাক্তের হার ১৪.৩৮%। রোববার সকালে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ৩৬ জন ছাড়াও কোভিড-১৯’এর উপসর্গ নিয়ে আরো ১১০ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্জা কেন্দ্রে অরো ১২ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন