বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

করোনা প্রতিরোধে সচেতন হতে হবে

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০৩ এএম

বর্তমানে আমরা একটু খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে জীবন অতিবাহিত করছি। এই খারাপ সময় অতিবাহিত করার কারণ আমাদের সকলেরই জানা। তা হলো করোনার প্রাদুর্ভাব। এই প্রাদুর্ভাবের কারণে একদিকে যেমন আমাদের জনজীবন চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে, ঠিক তেমনি সম্মুখীন হতে হচ্ছে আর্থিক সংকটের। বাংলাদেশে ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলছে কিন্তু তারপরও থামছে না করোনার প্রাদুর্ভাব। ইতোমধ্যে বহির্বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আবারও আগের মতো লকডাউন জারি করা হচ্ছে। ভ্যাকসিন কার্যক্রমের মধ্যেও করোনার প্রাদুর্ভাব হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কারণ কী? ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার অভাব? না সচেতনতার অভাব? এর উত্তরে বিশিষ্টজনদের মতামত হচ্ছে, অসচেতনতাই অন্যতম কারণ। তাই করোনার প্রাদুর্ভাব কমিয়ে আনতে প্রয়োজন আমাদের সকলের সচেতনতা। তা না-হলে করোনার প্রাদুর্ভাব ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে। তাই আসুন, নিজে সতর্ক থাকি, অন্যকে সচেতন করি।

সাইদুর রহমান সাদ
শিক্ষার্থী, ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, গাজীপুর

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Jack+Ali ১২ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫৯ পিএম says : 0
৩ কারণে আল্লাহ করোনাকে গজব হিসেবে পাঠিয়েছেন আলোচিত ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে করোনা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। এই ভাইরাস বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গোটা বিশ্ববাসী এখন আতঙ্কিত। এটি এখন মহামারীতে রূপ নিয়েছে। তিনি বলেন, এটি সাধারণ কোনো মহামারী নয়, এটি ভয়ঙ্কর একটি মহামারী, যা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। মারণ এই ভাইরাস কেন মহামারী আকার ধারণ করল কোরআন-হাদিসের আলোকে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন আজহারী। তিনি বলেন, সুরা রোমে আল্লাহ বলেছেন– ‘জলে-স্থলে যে দুর্যোগ, বিপর্যয় মহামারী ধেয়ে আসছে তা তোমাদের হাতের কামাই।’ আজহারী বলেন, করোনা আমাদের উপার্জিত, পাপের ফসল। আমরা যদি নাফরমানি ছেড়ে দিই এক আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন হতাম, আল্লাহর দেয়া বিধিবিধান, শরিয়ার নিয়মকানুন ও ইসলামকে যদি মেনে চলতাম তা হলে এই আজাব, গজব, বিপর্যয় মহামারী আক্রমণ করত না। তিনি বলেন, সুরা রোম থেকেই বোঝা যাচ্ছে– এগুলো আমাদের পাপের ফসল। আমরা পাপের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছি। আমাদের পাপের কারণেই আল্লাহ মাঝেমধ্যে দুর্যোগ মহামারী দিয়ে আমাদের পরীক্ষা করে থাকেন। হালের এই জনপ্রিয় বক্তা মহামারীর দ্বিতীয় কারণ হিসেবে সুনানে ইবনে মাজার একটি হাদিসে পেশ করেন। যেখানে আল্লাহর রাসুল (স.) বলেছেন, কোনো সমাজে যখন অশ্লীলতা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে, তখন আল্লাহ ওই সমাজে মহামারী (তয়ু’ম) পাঠান। আজহারী বলেন, যখন কোনো সমাজে অশ্লীলতা, নগ্নতা ছড়িয়ে পড়ে এবং এগুলো সহজলভ্য হয়ে যায়, মানুষ যখন এগুলো প্রচার-প্রসার করতে একটু দ্বিধাবোধ করে না; তখন আল্লাহ ওই সমাজে মহামারী পাঠান, আজাব পাঠান। তিনি বলেন, গোটা বিশ্বে অশ্লীলতা, ন্যুডিজমে ছেয়ে গেছে। পত্রপত্রিকা ম্যাগাজিনে ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়াতে অশ্লীল ছবি, ভিডিও, নারী-পুরুষের অশ্লীল দৃশ্য এখন খুবই সহজলভ্য। ইন্টারনেট, ইউটিউবের কারণে এগুলোর অ্যাকসেস পেয়ে যাচ্ছে। ফলে গোটা বিশ্ব এখন অশ্লীলতায় সয়লাব। আজহারী বলেন, অনেক সময় এসব দুর্যোগ বা মহামারী আল্লাহ পরীক্ষা করার জন্য পাঠান। মহামারীর মধ্যে কে ধৈর্য ধারণ করল, কে ইমানহারা হলো না, কে ইমানের পথে অবিচল থাকতে পারল-এসব দেখার জন্য আল্লাহ মাঝেমধ্যে পরীক্ষা করেন। তিনি বলেন, আল্লাহ বলেছেন– ‘অবশ্যই আমি তোমাদের ভয় দিয়ে, ক্ষুধা দিয়ে প্রাণনাশ ও সম্পদ নাশের আশঙ্কায় তোমাদের পরীক্ষা করব।’ আজহারী বলেন, গোটা বিশ্বটাই একটি পরীক্ষা। আল্লাহ দেখতে চান এই জীবন-মৃত্যুর ধারাবাহিকতায় কে ভালো কাজ করে আর কে খারাপ কাজ করে তা আল্লাহ দেখতে চান। তিনি বলেন, সুরা মুলকে আল্লাহ বলেছেন, কে তোমাদের ভালো কাজ সম্পাদন করে আর কে খারাপ কাজ করে তা তিনি দেখতে চান। এ জন্য আল্লাহ পরীক্ষা হিসেবে দুর্যোগ মহামারী পৃথিবীতে পাঠান। আজহারী আরও বলেন, সহিহ মুসলিমের একটি হাদিসে বলা হয়েছে, আল্লাহ আজাব হিসেবেও পৃথিবীতে এই মহামারী পাঠান। পূর্ববর্তী অনেক জাতির ওপর এ রকম আজাব পাঠিয়েছেন আল্লাহ। ‘আমরা যেন নাফরমানি ছেড়ে দিই, আল্লাহর পথে ফিরে আসি, সে জন্য আল্লাহ রিমাইন্ড হিসেবে আজাব পাঠান।’ তিনি বলেন, সহিহ মুসলিমের একটি বর্ণনায় পাওয়া যায়, আল্লাহর রাসুল বলেছেন– এই মহামারী এক ধরনের আজাব। যেটা পূর্ববর্তী অনেক জাতির ওপর চাপিয়েছেন। বিশেষ করে এখানে বনি ইসরাইল জাতির প্রতি বলা হয়েছে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন