শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

লকডাউনেও ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

চলমান লকডাউনের মধ্যেও ঢাকার বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর। ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স প্রজেক্টের তথ্য অনুযায়ী গতকাল রাজধানী ঢাকার বায়ুর ছিল ২৩৫পিএম। এই বায়ুমান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।

বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুযায়ী বায়ুর মান শূন্য থেকে ৫০ পিএম থাকলে সেটাকে বিশুদ্ধ বায়ু বলা হয়। রাজধানীতে চলমান অস্বাস্থ্যকর বায়ুর কারণে নানা ধরনের অসুখে ভোগা ব্যক্তিরা গুরুতর অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

রাজধানী ঢাকা বায়ুদূষণের শিকার শহরগুলোর তালিকায় প্রায়ই শীর্ষে থাকছে। আর বর্তমানে বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হচ্ছে ধুলা। অপরিকল্পিতভাবে শহরের যেখানে-সেখানে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও উন্নয়ন কাজের জন্য রাজধানীর বাতাসে ছড়াচ্ছে ধুলা। আর তাতে বিষাক্ত হচ্ছে রাজধানীর বাতাস। বায়ুমান সূচকে ঢাকার বাতাস প্রায়ই ২৫০ পিএম থেকে ৩০০ পিএম-এ পৌঁছে যাচ্ছে। যা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। নগরবাসী সর্দি-কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরাই এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

কিছুদিন আগেও বায়ুদূষণের প্রধান কারণ ছিল রাজধানীর আশপাশে গড়ে উঠা অবৈধ ইটভাটার কালো ধোঁয়া। উচ্চ আদালতের নির্দেশে পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দিয়েছে। তার পরও বায়ুদূষণের শহর হিসেবে ঢাকা ঘুরে ফিরে প্রথম স্থানে থাকছে কেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত চার কারণে রাজধানীবাসী বায়ুদূষণের শিকার হচ্ছে। এর মধ্যে ধুলাদূষণ হলো অন্যতম প্রধান কারণ। দ্বিতীয়ত, পুরোনো যানবাহনের আধিক্য ও এসবের কালো ধোঁয়া। তৃতীয়ত, শহরের আশপাশের শিল্প-কলকারখানার দূষণ। চতুর্থত, শহরের ভেতরে যে ময়লা-আবর্জনা জমে সেগুলো পোড়ানোর ধোঁয়া। পরিবেশ অধিদফতর যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় এই পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন ঘটছে না বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার অবস্থানও প্রথম দিকেই। রাজধানী ঢাকায় দেড় কোটিরও বেশি মানুষের বসবাস। পরিবেশবিদরা বলছেন, অন্য দেশগুলো তাদের বড় শহরগুলোর বায়ুদূষণ রোধে যেখানে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, সেখানে ঢাকা অনেকটাই ব্যর্থ। ধুলাদূষণ রোধে সকাল বিকাল পানি ছিটানো এবং নির্মাণ কাজের স্থান ঢেকে রাখার জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকার পরও পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। শহরের মধ্যে উন্নয়ন কাজের ফলে সৃষ্ট ধুলাদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না দুই সিটি করপোরেশন। দূষণের আরেক বড় উৎস ঢাকার বর্জ্য, আর এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনারও আধুনিকায়ন করতে পারেনি দুই সিটি করপোরেশন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন