সৈয়দ শামীম শিরাজী, সিরাজগঞ্জ থেকে
সিরাজগঞ্জে কোরবানির হাট-বাজারগুলোতে দেশি গরুর কদর বেড়েছে। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় জমে উঠেছে কোরবানি পশুর হাট। হাটগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে জেলার বিভিন্ন পশুর হাটে ক্রেতাদের ভিড় দিন দিন বাড়ছে। এসব হাটে ২০ হাজার থেকে শুরু করে ৩ লাখ টাকা মূল্যে গরু ও ৩ থেকে ২০ হাজার টাকা মূল্যে ছাগল ও খাসি পাওয়া যাচ্ছে। গরু-ছাগলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রতিটি হাটে ভেটেনারি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় চলতি কোরবানির জন্য পশুর দাম অনেক বেশি হওয়ায় ক্রেতা পশু কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। তবে ক্রেতারা ঝুঁকছেন দেশিয় গরুর দিকে। দেশিয় গরুতে ভেজাল না থাকায় এর চাহিদাও বাড়ছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, অধিক লাভের আশায় গরু ব্যবসায়ীরা গরু মোটা-তাজাকরণের জন্য পশুকে স্টেরয়েডের, ট্যাবলেট ও ইনজেকশন ব্যবহার করছেন। ফলে কোরবানির পশুর মাংস খেয়ে সাধারণ মানুষের শরীরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মালশাপাড়া কাটা ওয়াপদা, কান্দা পাড়া, শালুয়া ভিটা, উল্লাপাড়া উপজেলার বোয়ালিয়া, শাহজাদপুর উপজেলার তালগাছি, পাঙ্গাসী, রান্ধুনী বাড়ি, ধুকুরিয়া বেড়া, জনতার হাট, নিমগাছী কৈজুড়ি, সলঙ্গা, বাগবাটি, চান্দ্রাইকোনা, নাটুয়াপাড়া শমেসপুর, তাড়াশ উপজেলা সদর বাজার এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় গরুর হাট বসেছে। কোরবানির হাটে আগত কোন ক্রেতা কিংবা বিক্রেতা প্রতারণার স্বীকার না হয় এজন্য পুলিশের টহল ও গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণের মেশিন বসানোর কথা জানিয়েছেন তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আমিনুল ইসলাম। শাহজাদপুর তালগাছি হাটে আসা ক্রেতা মহসীন আলী বলেন, সাধ্যের মধ্যেই গরু কিনতে চাই। তবে গরু ব্যবসায়ীরা অল্প সময়ে গরু মোটা-তাজাকরণ করতে যে সব ইনজেকশন ব্যবহার করে তাতে শরীরে রোগ-ব্যাধি হবে এমনই আশংকায় আছি। সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অফিসার ইমান আলী জানান, প্রতিটি হাট-বাজারে আমাদের পক্ষ থেকে ভেটেনারি মেডিকেল টিম রয়েছে। হাটে ব্যবসায়ীরা যেন অসুস্থ পশু বিক্রি করতে না পারে এ জন্য আমাদের মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। প্রতিটি গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষসহ প্রতিটি পশুরই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। হাটে আগত ক্রেতাদেরকে কোন গুজব না শোনার পরামর্শও দেন তিনি। তাড়াশ হাটে বগুড়ার শেরপুর থেকে আসা ক্রেতা শাহ-জামাল জানান, এ বছর প্রথম এসেছি এই হাটে। তবে এখানকার প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর, থানার প্রশাসন ও হাট কমিটির বেশ কঠোর নজরদারী রয়েছে। যা আগত ক্রেতাদের কাছে সন্তোষজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ ছাড়া গরুর দাম একটু কম হওয়ায় ৭০ হাজার টাকা দিয়ে তিনি ক্রয় করেছেন বলে জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন