শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

দ্বিতীয় দফার লকডাউন শুরুর প্রাক্কালে দক্ষিণাঞ্চল মুখি জনস্রোত

ব্যাংক বাজার সহ দোকানপাটে অস্বাভাবিক ভীড়

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০২১, ৫:৩৩ পিএম

দ্বিতীয় দফার লকডাউন শুরুর আগের দিন সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল যুড়ে ঘরে ফেরা মানুষের মধ্যে ছিল যথেষ্ঠ উৎকন্ঠা আর উদ্বেগ। সব ধরনের ব্যংকগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভীর। হাটবাজার আর মুদি দোকান সহ কাঁচা বাজারেও ভিড় ছিল স্বাভাবিক সময়ের দ্বিগুনেরও বেশী। প্রায় সবাই কর্মস্থল তাগ করেছেন নুন্যতম স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করে বিভিন্ন অবৈধ যানবাহনে। রাজধানীর সাথে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের সরকারী-বেসরকারী বাস ও লঞ্চ-স্টিমার সহ সব ধরনের আকাশ পরিবহন বন্ধ থাকায় চরম ঝুকি নিয়েই গত কয়েকদিন ধরে মানুষ কর্মস্থল থেকে ঘরে ফিরছেন।
বিশেষকরে ঢাকা থেকে সংক্ষিপ্ত সড়ক পথের মাওয়া হয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেছেন। পটুয়াখালী ও বরগুনা থেকে বরিশাল হয়ে গত কয়েকদিন ধরে ছোট-বড় থ্রী-হুইলারে অগনিত নারী-পুরুষ ও শিশু মাওয়া গেছে। সেখানে বিভিন্ন উপায়ে পদ্মা পাড়ি দিয়ে ঢাকায়। অনরূপভাবেই ঢাকা থেকেও বিপুল সংখ্যক মানুষ বরিশাল হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় পৌছেছে। এমনিক বিপুল সংখ্যক অবৈধ মাইক্রোবাসও ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে মাওয়া থেকে বরিশালে যাত্রী পরিবহন করেছে।
আবার মাওয়া থেকেও প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক অবৈধ যনবাহনে বরিশাল হয়ে পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা ও ঝালকাঠী জেলার বিভিন্ন গন্তব্যে বিপুল সংখ্যক মানুষ যাতায়াত করেছে। করোনালকডাউনে দক্ষিণাঞ্চলের যেসব মহাসড়কে এসব অবৈধ যানবাহনে যাত্রী পরিবহন করেছে, তা দেখভালের জন্য দুটি হাইওয়ে পুলিশ থানা ছাড়াও বেশ কয়েকটি জেলা পুলিমের থানা এবং বরিশাল মহানগর পুলিশের বিশাল ট্রাফিক বিভাগ থাকলেও বিষয়টি নিয়ে তাদের তেমন কোন তৎপড়তা লক্ষ করা যায়নি। এখন সবাই অপেক্ষা করছেন দ্বিতীয় দফায় যে কঠোর লক ডাউনের কথা বলা হচ্ছে তা দেখা নিয়ে।
তবে বুধবার থেকে দ্বিতীয় দফা লকডাউন পালনে সরকার যে কঠোর অবস্থা নেবে সে ব্যপারে দক্ষিণাঞ্চলের বেশীরভাগ মানুষ মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেছেন। একারনেই গত কয়েকদিন ধরে বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলের হাট-বাজার সহ সব ধরনের দোকানপাটেই ভীড় ছিল লক্ষনীয় মাত্রায় বেশী। বানিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে টাকা তোলার জন্যও ছিল লম্বা লাইন। এমনকি এঅঞ্চলের সবগুলো এটিএম বুথ ও ফাষ্ট ট্র্যাকেও গ্রাহকদের ভীড় ছিল স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েকগুন বেশী। এটিএম বুথে নগদ টাকার যোগান অব্যাহত রাখতে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। সে করনে প্রায় সব বানিজ্যিক ব্যাংকের কর্মকর্তাগন লকডাউনের ছুটিতেও কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারছেন না। তবে বিপুল সংখ্যক বুথ ও ফাষ্ট ট্র্যাকের দায়িত্বে থাকা দেশের অন্যতম বৃহত একটি বেসরকারী বানিজ্যিক ব্যাংকের এক নির্বাহী জানিয়েছেন, ভল্টে টাকা থাকা পর্যন্ত তারা যোগান দিলেও পরে কি হবে তা বলতে পারছেন না। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা পাবার কোন সুযোগ না থাকায় নিজস্ব সিমিত অর্থে খুব বেশীদিন বুথগুলো সচল রাখা সম্ভব নাও হতে পারে বলে জানিয়েছেন ঐ কর্মকর্তা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন