শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

চিকিৎসা খরচ নিয়ে শঙ্কিত আহত শাটলার তুষার!

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০২১, ৮:১৩ পিএম

সদ্য সমাপ্ত বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসে খেলতে এসে আহত হয়ে কোর্ট ছেড়েছিলেন খুলনার ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় গাজী নূর আলম তুষার। গেমস শেষ হয়েছে তিন দিন আগে। বর্তমানে নিজ বাড়িতে অবস্থান করলেও চিকিৎসা খরচ নিয়ে শঙ্কিত তুষার!

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসে খেলার সময় পায়ের গোড়ালিতে (অ্যাঙ্কেল) ব্যথা পেয়েছিলেন তুষার। ইনজুরিতে পড়ার এক সপ্তাহের বেশি সময় পার হলেও এখন ব্যথা অনুভব করছেন এই শাটলার। ফলে সহসাই তার চিকিৎসার প্রয়োজন। কিন্তু চিকিৎসার খরচ চালাবে কে? এমন প্রশ্ন তুষারের মনে ঘুরপাক খেলেও এর উত্তর তার কাছে নেই। খুলনায় নিজ বাড়িতে বসে পায়ের ব্যথায় কাতরালেও নিজের চিকিৎসা খরচ নিয়ে বেশ শঙ্কিত তুষার। তিনি বলেন,‘ঢাকার ডাক্তার বলছিল, ব্যথা হলে ফের এমআরআই করাতে। এমআরআইতে যদি খারাপ কিছু ধরা পড়ে তখন তো অপারেশন করতে হবে। এত টাকা আমি কোথায় পাবো ?’ ব্যথা পাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত চিকিৎসা বাবদ তুষারের খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন দিয়েছে ১০ হাজার। বাকি টাকা তাকেই ব্যবস্থা করতে হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তুষার বলেন,‘ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক দুই বার পাঁচ, পাঁচ করে দশ হাজার টাকা দিয়েছেন। উনি বলেছিলেন, ঢাকায় কিছু দিন থাকতে। চিকিৎসার বিষয়টি ফেডারেশন দেখবে। তবে ঢাকায় তো আমার বাসা বা আত্মীয় নেই। চিকিৎসার জন্য ঢাকার হোটেলে থাকা এবং খাওয়া বাবদ অনেক খরচ। তাই বেশি টাকা ভাড়া দিয়ে গাড়ি নিয়ে নিজ বাড়িতে এসেছি। ঢাকায় থাকলে হয়তো বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সহযোগিতা পেতাম। কিন্তু খুলনায় চিকিৎসার খরচ চালাতে এখন আমার পাশে কে দাঁড়াবে? ’

তুষারের মতো চিকিৎসা খরচ নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার নারী হকি খেলোয়াড় সিমি কর্মর্কার। তিনিও বাংলাদেশ গেমসে খেলতে এসে তিনিও ব্যথা পেয়েছিলেন কনুইয়ে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। সিমির দেখভাল করছিলেন নড়াইল হকি দলের ম্যানেজার শান্ত ও ঢাকা জেলা ক্রীড়া অফিসার তারিকউজ্জামান নান্নু।

নড়াইলের হকি ম্যানজোর বলেন,‘অন্য ভেন্যু বা ডিসিপ্লিনে কি হয়েছে জানি না। তবে হকির মেডিক্যাল ব্যবস্থা ভালো ছিল না। মাঠে খেলোয়াড় ব্যথায় কাতরাচ্ছে, অথচ মেডিক্যাল কমিটির করো দেখা নেই। মাঠে ছিল না কোন স্ট্রেচার বা অ্যাম্বুলেন্স। হকি ফেডারেশন বলে এসব বিওএ’র দেখবে, আর বিওএ বলে তারা ফেডারেশনকে সব বুঝিয়ে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এখন পর্যন্ত আমরাই সিমির চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করেছি।’

সিমি কর্মকারের আহত হওয়ার ঘটনাটি নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকুকে মঙ্গলবার জানিয়েছেন নড়াইল হকি দলের ম্যানেজার শান্ত। মিকু বিওএর উপমহাসচিব হওয়ায় তিনি আশ্বস্ত করেছেন সিমির চিকিৎসার বিষয়টি বিওএ দেখবে। এক্ষেত্রে শান্তর প্রশ্ন,‘আমাদের জেলায় না হয় মিকু ভাই আছেন বলে রক্ষা, কিন্তু অন্য জেলা বা দলের আহত খেলোয়াড়দের কি হবে?’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন