বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং রমজান উপলক্ষে আমাদের পৌরসভাতে লকডাউনের কারণে ও রমজানের জন্য প্রায় ৫/৭ হাজার লোকের মধ্যে সাড়ে ৪শ’ টাকা করে দেয়ার কথা ছিল। হঠাৎ করে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে স্থগিত ঘোষণা করেছে।
এদেশে সব আইন সব সিদ্ধান্ত গরীবের বিরুদ্ধে বড় লোকের পক্ষে। আপনারা বড়লোককে বড় লোক বানাতে চান। গরীবকে গরীব বানাতে চান। রাজতৈনিক নেতারা সব দলের, প্রথম সারির দুই-একজন আছে, দ্বিতীয় সারির সব নেতা তাদের বিভিন্ন দেশে বাড়ি-গাড়ি এবং ব্যাংক ব্যালেন্স আছে। এগুলোর তদন্ত হওয়া উচিত। কেউ এগুলো নিয়ে মনে কষ্ট নিলে আমার কিছু যায় আসেনা। আমি কাউকে ভয় করিনা। গতকাল দুপুরে নিজের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, লকডাউন দিয়েছেন ভাল কথা। লকডাউন কি কেউ মানে? এটা কি লকডাউন? দোকানে সাবান পানি নাই। এটা কোন লকডাউন? এই লকডাউন দিয়ে লাভ কি? আমি বলছি যে করোনা আমাদের সঙ্গী হয়ে গেছে। টিকা নেয়ার পরেও করোনা হচ্ছে। আমি বলছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে, নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যদি এগিয়ে যাই তাহলে অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হবো না। দেশ এগিয়ে যাবে। এটা খোদাই গজব, আমাদের মন্ত্রী এমপি যেগুলো করে। গরীবের ওপর অত্যাচার করতেছেন এটা নিয়ে আল্লাহ অসুন্তষ্ট হয়ে, করোনা মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছায় দিছে।
তিনি আরো বলেন, কেউ কেউ আমাকে ম্যাসেজ দেয় আপনাদের সাথে আপস করার জন্য। যারা সিঙ্গাপুরে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করেছে মন্ত্রীর চিকিৎসার কথা বলে। সোবহান সাহেবের ছেলে থেকে টাকা নিছে, গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছে, প্রত্যেকটা এমপি যারা সেখানে গেছে তাদের থেকে টাকা নিয়েছে। আর এই চিকিৎসার খরচ মন্ত্রীকে দিয়েছে? প্রধানমন্ত্রী দিয়েছে। সে চাঁদাবাজি থেকে আরম্ভ করে মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি যারা করেছে তাদের সাথে আপস করব। মন্ত্রীর সহকারী সবগুলো মন্ত্রীর ভিজিটিং কার্ড ভাগ করে নিয়ে সমস্ত এমপি, ব্যবসায়ী, কন্ট্রাক্টার সবার দ্বারে দ্বারে গিয়ে জুয়েল হাজার হাজার টাকা নিয়ে লং আইল্যান্ডে বাড়ি করেছে। আর কেউ কেউ আমাকে ম্যাসেজ দেয় এদের সাথে আপস করার জন্য। আমি চোরের সাথে আপস করবো?
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন