সর্বাত্বক লকডাউন ঘোষণার ফলে গতকাল পিরোজপুরের বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। যা কখনো কোন উৎসবেও দেখা যায় না। মনে হচ্ছিল যেনো পরে আর কেনাকাটা বা কোন কাজ করতে পারবে না মানুষ। মাস্ক পড়া, স্বাস্থ্যবিধি বা দূরত্ব মেনে ক্রেতাদের চলাচল ও কেনাকাটা করতে দেখা যায়নি। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ছে। গতকাল সকাল থেকেই পিরোজপুরের বাজার, ব্যাংক ও বিভিন্ন সড়কে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়।
জেলা শহরের বিভিন্ন বাজার ও এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই রাস্তায় ঘোরাঘুরি করছেন। সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করেই দোকানে ভিড় করছেন। তাদের মধ্যে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধের সতর্কতা নেই বললেই চলে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ছে। সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী হলেও মানুষের মধ্যে তেমন সচেতনতা দেখা যাচ্ছে না। দেখে মনে হচ্ছে, দেশে করোনা বলতে কোন কিছু নেই। স্বাভাবিক সময়ের মত মানুষ চলাচল করছে বাজারে। শহরের রাস্তায় আগের চেয়ে বেড়েছে ছোট যানবাহনের সংখ্যা।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান জানান, সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ কার্যকরে আমরা নির্দেশনা পেয়েছি। গত ধাপে যে নির্দেশনাগুলো দেয়া হয়েছিল পিরোজপুর জেলায় বিভিন্ন থানা এবং পুলিশের সমন্বয়ে আমরা সেই বিধিনিষেধ প্রতিপালনের চেষ্টা করেছি।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত জনগণের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। বিষয়টি কার্যকর করার জন্য আমরা অনেকগুলো উদ্যোগ নিয়েছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন