কঠোর লকডাউনে বাংলাদেশ। লকডাউন এড়াতে বাড়ির পথে ছুটছে মানুষ। দূরপাল্লার বাস বন্ধ। যে যেভাবে পারছে সেভাবেই পাড়ি দিচ্ছেন পথ। প্রাইভেটকার, পিকাপভ্যান, ট্রাক, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল এমনকি রিকশাভ্যানেও ছুটছে মানুষ। এজন্য ভাড়া গুণতে হচ্ছে তিন/চারগুণ বা তারও বেশি। ঘরে ফেরার জন্য ঢাকার রাস্তায় মানুষ আর মানুষ। পথিমধ্যে মহাসড়কে গাড়ির চাপে ভয়াবহ যানজট। প্রচন্ড গরমে দুঃসহ যন্ত্রণা আর ভোগান্তি। তারপরেও ছুটছে মানুষ। এ যেন ঈদযাত্রা।
করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য আজ থেকে কঠোর লকডাউন জারি করেছে সরকার। প্রথম দফায় দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় দফায় বিধিনিষেধ আরও কঠোরভাবে মনিটরিং করার কথা রয়েছে। আর এমন বন্দিদশা যেন মানতেই নারাজ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শ্রমজীবীরা। তাই যে যেভাবে পারছে সেভাবেই ঢাকা ছেড়েছে। যানবাহনের ভিড়ে ঢাকার প্রবশেপথসহ সবগুলো মহাসড়কে ভিড় আর যানজট। প্রথম দফায় ঢিলেঢালা লকডাউনের আওতায় সব কিছুই খুলে দেয়া হলেও বন্ধই ছিল দূরপাল্লার বাস। সে কারণে ট্রাক, পিকআপ, প্রাইভেটকার, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ ব্যক্তিগত যানবাহনে করে গ্রামের বাড়ি দিকে ছুটেছে মানুষ। গতকাল সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। কোথাও কোথাও তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট। অনেকটা ঈদের ছুটির মতো যানবাহনগুলো গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করেছে।
গতকাল সকাল থেকে রাজধানীর গাবতলীতে ছিল ঘরে ফেরা মানুষের ভিড়। পুলিশের সামনেই প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে চেপে যাত্রীরা আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটের দিকে যেতে দেখা গেছে। স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে দূরপাল্লার কিছু পরিবহন যাত্রীদের নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাবতলী টার্মিনালের একজন জানান, রাতে এ. কে ট্রাভেল পরিবহন যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে। তারা জনপ্রতি ভাড়া নিয়েছেন এক হাজার টাকা। পুলিশকে ম্যানেজ করেই তারা যাত্রী পরিবহন করেছে। গতকালও সকালেও দেখা গেছে, পুলিশের সামনে দিয়েই যাত্রী নিয়ে আরিচা, পাটুরিয়া গেছে সিটির মধ্যে চলার অনুমতি থাকা বাসগুলো। সোবহান নামে একজন যাত্রী বলেন, সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউন কবে শেষ হবে তাও জানা নেই। তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি। কোনো পরিবহন না থাকায় বেশি টাকা খরচ করে মাইক্রোবাসে যেতে হচ্ছে। রুমা নামে এক চাকরিজীবী নারী বলেন, লকডাউন কতদিন থাকে, বলা যাচ্ছে না। তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি। তবে ভাড়া কয়েকগুণ বেশি দিয়ে যেতে হচ্ছে। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করেই ঢাকা ফিরবো।
এদিকে গতকাল সকাল থেকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালেও যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। এ টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাসও ছাড়তে দেখা গেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দেখা গেছে, ঘরমুখে মানুষের ভিড় অন্য দিনের চেয়ে অনেক বেশি। কোনও কোনও বাস পুলিশের চোখের সামনে দিয়েই মহাসড়ক দিয়ে যাত্রী পরিববহন করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে সায়েদাবাদ জনপথ মোড় থেকে নাদিয়া কান্তা রিদি নামে একটি দূরপাল্লার বাসে যাত্রী নিয়ে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। কুমিল্লার যাত্রীদের কাছে থেকে ৭শ টাকা করে ভাড়া নেয়া হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থেকে শনিরআখড়া পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে যাত্রী তোলা হচ্ছে। এখন থেকে কুমিল্লা, নোয়াখালী ও ফেনীসহ বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে মিনি ট্রাক যোগে নিন্ম ও নিন্মমধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ যাত্রা করছে। ইসলাম হোসেন নামে একজন ফুটপাতের দোকানী বলেন, যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তায় একটি চায়ের দোকান করে পরিবার চালাতাম। কাল থেকে সবকিছু বন্ধ। দোকান বন্ধ থাকলে তো পরিবার চলবে না। ঘর-বাড়ি না থাকলে রাস্তায় থাকা যায়। কিন্তু পেটে ক্ষুধা থাকলে থাকা যায় না। তাই বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছি। তবে তাদেরকে স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিতে হবে বলে জানান তিনি।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুধু দেশের সিটি করপোরেশন এলাকাগুলোতে গণপরিবহন চলবে। দূরপাল্লার কোনও বাস চলবে না। আমাদের কোনও দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল করছে না। তবে অনেক যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক, মিনি ট্রাক, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন উপায়ে ঢাকা ছাড়ার খবর আমরা পাচ্ছি। সেটা নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। তিনি বলেন, আমরা বলে দিয়েছি কেউ যদি সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে পরিবহন পরিচালনা করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, দুপুরের পর থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে উত্তবঙ্গগামী হাজারো ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ যানবাহন পার হয়েছে বলে সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, সোমবার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সেতু পার হয়েছে মোট ৩১ হাজার ৮৮১টি যানবাহন। এটা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এ সময় দুই কোটি ৪৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা টোল আদায় হয়েছে বলে জানান তিনি। যানবাহনের সংকট থাকায় যে যেভাবে পারছে বাড়ি ফিরছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক, হিউম্যান হলার, তিন চাকার যানবাহন, মোটরসাইকেল, এমনকি যাত্রীবাহী বাসেও গাদাগাদি করে চলাচল করছে মানুষ।
গোরাই হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন বলেন, সোমবার থেকে মহাসড়কে ঘরে ফেরা মানুষের ঢল থাকলেও কোথাও যানজট নেই। তবে যে যেভাবে পারছে বাড়ি ফিরছে। সত্যি বলতে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো নিশানা দেখা যাচ্ছে না। আমাদের কী আর করার আছে? আমরা শুধু দেখছি অ্যাকসিডেন্ট যেন না হয়। চেষ্টা করছি ট্রাকের ছাদে ঝুঁকি নিয়ে যাওয়া যাত্রীদের নামিয়ে দিতে। মহাসড়কের রাবনা বাইপাসে ট্রাকে চড়ে যাওয়া কয়েকজন জানান, যানবাহন না পেয়ে বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরতে রোদে পুড়ে ট্রাকের ছাদে ভ্রমণ করছেন তারা। তাদের একজন নির্মাণ শ্রমিক সাইফুল ইসলাম জানান, লকডাউনে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কিছুদূর পর পর গাড়ি বদল করে গাইবান্ধায় বাড়ি ফিরছেন তিনি। তিনি বলেন, উপায় তো নেই ভাই। কাজ বন্ধ, আয়ও বন্ধ। ঢাকায় থাকবো কোথায়, খাবো কী? তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। এদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস চলাচল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ বলেন, যাত্রীবাহী বাস যেন চলাচল করতে না পারে সেজন্য মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। মহাসড়কে আটকা পড়া বাসগুলো যাত্রী ছাড়া ডিপো এবং টার্মিনালে ফিরছে।
এদিকে, আগের দিনের চেয়েও গতকাল শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীদের ভিড় বেশি ছিল। এই রুটে বাড়ি ফিরেছে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। গতকাল শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ বলেছে, ফেরিতে যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। যাত্রী ও যানবাহনের চাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এমন চাপ শুধু ঈদের সময়ই দেখা যায়। আরিচার পাটুরিয়া ঘাটেও ছিল বেসামাল ভিড়। শত শত গাড়ি পার করতে ফেরিগুলো ব্যস্ত থাকলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। আরিচা বিআইডবিøউটিএ এর একজন কর্মকর্তা জানা, গাড়ির চাপ কমাতে ফেরির সংখ্যা দুদিন ধরেই বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু তারপরেও ভিড় কমছে না। তার ভাষায়, এমন ভিড় শুধু ঈদের দেখা যায়।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, কঠোর লকডাউন শুরুর আগে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামে সড়কে জনস্রোত সেই সাথে তীব্র যানজটে অচলাবস্থা নেমে আসে। এক সপ্তাহের লকডাউন সামনে রেখে মহানগরী ছেড়েছে লাখো মানুষ। দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকায় পথে পথে চরম দুর্ভোগের শিকার হন ঘরমুখো মানুষ। বিকল্প যানবাহনে গুণতে হয় তিন থেকে চার গুণ বেশি ভাড়া। গভীর রাত পর্যন্ত নগরীর সড়ক, মহাসড়ক আর অলি-গলিতে ছিলো তীব্র যানজট, জনজট। প্রখর রোদে যানজটে আটকা পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয় সড়কে। নগরীর বাস টার্মিনালগুলোতে ছিলো ঘরমুখো মানুষের ঢল।
গতকাল রাত পর্যন্ত সড়কে ঘরমুখো মানুষের স্রোত দেখা যায়। দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ। তবে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ রুটে বাস, মিনিবাস চলাচল করেছে। বৃহত্তর চট্টগ্রাম ছাড়াও নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন রুটে কিছু গণপরিবহন চলেছে। এছাড়া লোকজন ট্রাকে, পিকআপে এমন কি কার্ভাডভ্যানে গ্রামে গেছে। ভাড়া মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার ও সিএনজি অটোরিকশায়ও অনেকে বাড়ি গেছেন।
সকাল থেকে নগরীর প্রতিটি সড়কে ছিলো তীব্র যানজট। জট বিস্তৃত হয় সড়ক থেকে অলিগলিতে। নগরীর পতেঙ্গা থেকে ইপিজেড, আগ্রাবাদ থেকে মুরাদপুর, অক্সিজেন, বহদ্দারহাট, কালুরঘাট, বাকলিয়া থেকে নিউমার্কেট সড়কে তীব্র জটে বেহাল দশায় দুর্ভোগ চরমে উঠে। আধা ঘণ্টার রাস্তা পার হতে লেগে যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। নগরীর হাটবাজারগুলোতে ক্রেতার ঢল নামে। লোকজন রোজার বাজার করতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। মানুষের ভিড় আর হুড়োহুড়িতে স্বাস্থ্যবিধি বিশেষ করে শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
চট্টগ্রাম বন্দর, ইপিজেড ও পতেঙ্গার বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোগুলোতে আমদানি-রফতানি পণ্যবাহী কন্টেইনার ও মালামাল বোঝাই যানবাহনের চাপ ছিলো স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে বিমানবন্দর সড়ক, আউটার রিং রোড, টোল রোড, পোর্ট কানেকটিং রোড, মাঝির ঘাট রোড, স্ট্যান্ড রোড হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও ছিলো তীব্র যানজট।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, সরকারি-বেসরকারী বাস ও লঞ্চ-স্টিমার সহ সব ধরনের শ পরিবহন বন্ধ থাকায় চরম ঝুকি নিয়েই গত কয়েকদিন ধরে রাজধানী থেকে দক্ষিণাঞ্চলে ফিরছেন সাধারণ মানুষ। পটুয়াখালী ও বরগুনা থেকে বরিশাল হয়ে গত কয়েকদিন ধরে ছোট-বড় থ্রী-হুইলারে অগনিত নারী-পুরুষ ও শিশু মাওয়া থেকে বিভিন্ন উপায়ে পদ্মা পাড়ি দিয়ে ঢাকায়। অনরূপভাবেই ঢাকা থেকেও বিপুল সংখ্যক মানুষ বরিশাল হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছেছে। এমনিক বিপুল সংখ্যক অবৈধ মাইক্রোবাসও ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে মাওয়া থেকে বরিশালে যাত্রী পরিবহন করেছে। আবার মাওয়া থেকেও প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক অবৈধ যনবাহনে বরিশাল হয়ে পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা ও ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন গন্তব্যে বিপুল সংখ্যক মানুষ যাতায়াত করেছে। এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে বরিশাল মহানগরীসহ দক্ষিণাঞ্চলের হাট-বাজার সহ সব ধরনের দোকানপাটেই ভিড় ছিল লক্ষনীয় মাত্রায় বেশী। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে টাকা তোলার জন্যও ছিল লম্বা লাইন। এমনকি এ অঞ্চলের সবগুলো এটিএম বুথ ও ফাষ্ট ট্র্যাকেও গ্রাহকদের ভিড় ছিল স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।
শিবচর (মাদারীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, লঞ্চ বন্ধ থাকলেও ফেরি, স্পীডবোট, ট্রলারে হাজার হাজার যাত্রী বাড়তি ভাড়া গুনে গাদাগাদি ঠাসাঠাসি করে পারাপার হচ্ছে। ফেরিতে যাত্রীদের চাপ সামলাতে অনেক কম যানবাহন নিয়েই ফেরি পাড়ি দিতে বাধ্যা হচ্ছে। এদিন বাংলাবাজার ঘাট থেকে বাড়তি ভাড়া নিয়ে যাত্রীবাহী বাস চলেছে। পাশাপাশি মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে বাড়তি ভাড়া দিয়ে বাড়ি ফিরছে যাত্রীরা। কোথাও দেখা যায়নি স্বাস্থ্যবিধি মানার লক্ষণ। এদিকে ফেরি চলাচল সীমিত থাকায় ঘাট এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাকের জট রয়েছে। শতাধিক কাচামালবাহী ট্রাক আটকে মালে পচন ধরেছে। বিআইডবিøউটিসির বাংলাবাজার ঘাট ম্যানেজার মো. সালাহউদ্দিন বলেন, জনগণকে আমরা স্বাস্থ্যবিধি বুঝানোর চেষ্টা করছি । আমরা জরুরি গাড়ি আগে পার করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন