শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

জীবিত বাড়ি ফিরলেন বাঘের হামলায় নিহত সিরাজুল !

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৪ এপ্রিল, ২০২১, ৬:৪৯ পিএম

খুলনার কয়রা উপজেলার গোবরা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম সরদার বনবিভাগের অনুমতি নিয়ে গত ১ এপ্রিল সুন্দরবনে মধু সংগ্রহে যান। গত রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাঘের আক্রমণে তার নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। বনবিভাগও তার নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছিল। অবশেষে সব খবরকে মিথ্যা প্রমাণ করে বুধবার স্বশরীরে ফিরে এসেছেন তিনি।

মৌয়াল সিরাজুল সরদার বলেন, ‘মেয়াদ শেষে ফরেস্ট স্টেশনে পাশ সমর্পণ করতে এলে তারা আমাকে দেখে কানাঘুষা শুরু করে। পরে তাদের মাধ্যমে আসল ঘটনা জানতে পারি। তাই সেখানে আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি বাড়ি এসেছি।

এদিকে মৌয়াল সিরাজুল সরদার ফিরে এসেছে শুনে তার কাছের ও দূরের আত্মীয় স্বজনরাও ভিড় জমিয়েছেন বাড়িতে। গ্রামের মানুষ ছাড়াও আশপাশের মানুষও কৌতূহল মেটাতে দল বেঁধে উপস্থিত হচ্ছেন ওই বাড়িতে। মানুষের ভিড়ে সিরাজ সরদারের ছোট্ট বাড়িটি এখন কানায় কানায় পরিপূর্ণ অবস্থা। আত্মীয় স্বজনের অনেককেই কান্নাকাটি করতে দেখা গেছে। গ্রামের অনেকেই যারা ফেসবুকে সিরাজ সরদারের মৃতদেহ উদ্ধারের বিষয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন তারাও তা মুছে ফেলেছেন।

সিরাজ সরদারের বড় মেয়ে সেলিনা খাতুন জানায়, রোববার তারা খবর পান তাদের বাবার নৌকায় বাঘের হামলা হয়েছে। খালেক নামে গ্রামের এক ব্যক্তি এ খবর ছড়ায়। খালেকের বাবাও মধু সংগ্রহে সুন্দরবনে গেছে। যে কারণে খবরটির গুরুত্ব দেয় স্থানীয় মানুষ। এ খবর বনবিভাগকে জানালে তারা সেখানে উদ্ধারকারী দল পাঠায়। এদিকে গ্রাম থেকে একটি দল সুন্দরবনে চলে যায় খবর নিতে। এর মধ্যে সোমবার দুপুরের পর ফেসবুকে তার বাবার মৃতদেহ উদ্ধার করে বাড়ি আনার খবর ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই ফেসবুকের ছড়িয়ে পড়া খবরটিকে গুরুত্ব দিয়ে সংবাদপত্রেও ছেপেছেন। এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে আবদুল খালেকের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার পরিবারের সদস্যরাও বলতে পারেননি তিনি কোথায় আছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল গফফার ঢালী বলেন, মানুষ গুজব ছড়িয়ে একটি পরিবারকে কোথায় নিতে পারে তার বাস্তব উদাহরণ সিরাজ সরদারের পরিবারটি। গত কয়েকদিন ধরে তার স্ত্রী ছেলে মেয়েদের কান্নাকাটিতে এলাকার আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠেছিল। বাবার মৃত্যুর খবর শুনে তার লাশটি উদ্ধারের জন্য মানুষের কাছে ধর্না দিয়েছিল তারা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন