শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নোয়াখালীর সেনবাগে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা, প্রবাসী স্বামী শ্রীঘরে

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৪ এপ্রিল, ২০২১, ৭:৫১ পিএম

সেনবাগ উপজেলায় যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত স্বামী আবুল হোসেন (৪৫), উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ পশ্চিম ছাতারপাইয়া গ্রামের আকরাম উদ্দিন বেপারী বাড়ীর মৃত আবদুল আজিজের পুত্র।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে অভিযুক্ত স্বামীকে স্ত্রীর মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

সেনবাগ থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকালে ভুক্তভোগী স্ত্রী আয়েশা বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় মামলা করে। পরে স্ত্রীর ওই মামলার দুপুরে স্বামীকে আটক করে সেনবাগ থানা পুলিশ।

ভুক্তভোগী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১নং ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ পশ্চিম ছাতারপাইয়া গ্রামের আকরাম উদ্দিন বেপারী বাড়ীর মৃত আবদুল আজিজের পুত্র কুয়েত প্রবাসী আবুল হোসেনের সাথে ২০০৫ সালের ৭ নভেম্বর একই গ্রামের তনু সর্দার বাড়ীর মো. খোরশেদ আলমের মেয়ে আয়েশা আক্তারের (২৮), পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। ২ ছেলে ১ মেয়েকে নিয়ে সুখেই সংসার চলছিলো আয়েশার। কিন্তু আয়েশার অজান্তেই চলতি বছরের (২৬ জানুয়ারি) দ্বিতীয় বিয়ে করেন স্বামী আবুল হোসেন। এরপর থেকে শুরু হয় আয়েশা ও তার ৩ সন্তানের ওপর স্বামীর অমানুষিক নির্যাতন। যৌতুকের টাকার জন্য আয়েশাকে কয়েক দফায় মারধর করে স্বামী। গত কিছুদিন যাবত দ্বিতীয় স্ত্রীকে বিদায় করতে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার প্রয়োজনীয়তা দেখিয়ে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন এবং স্ত্রীকে চাপ প্রয়োগ করে আবুল হোসেন। স্ত্রী স্বামীর দাবি অনুযায়ী যৌতুকের টাকা এনে দিতে পারেননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে গত সোমবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আয়েশাকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়।

পরে নির্যাতনের শিকার আয়েশাকে রক্তাক্ত অবস্থায় সোমবার রাতে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার পরিবার। পরবর্তীতে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকালে নির্যাতিতা স্ত্রী আয়েশা বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় কুয়েত প্রবাসী স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Harunur Rashid ১৫ এপ্রিল, ২০২১, ১:৫২ এএম says : 0
If it is true than eye for eye justice must be serve. No if and but.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন