শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বগুড়ার পটল পল্লী

বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৫ এপ্রিল, ২০২১, ৪:১৯ পিএম

গ্রামটির আদিনাম চাকলমা পুর্ব তালতলা। তবে লোক মুখে এটি এখন ‘পটল পল্লী ’ নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। কারন বছর জুড়ে এই পল্লীতে এখন এতবেশি পরিমানে উৎকৃষ্ট পটল উৎপাদন হয়ে বাজারজাত হয় যে মুখে মুখে এটির পরিচিতি হয়ে উঠেছে ‘পটল পল্লী’ রুপেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বগুড়ার উত্তরের শিবগঞ্জ উপজেলা কলা ও আলুর জন্য বিখ্যাত। সেই শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউপির চাকলমা পুর্ব তালতলা এলাকার মানুষও পুর্বের ঐতিহ্য মেনেই ধান পাট কলা ইত্যাদী চাষ করে আসছিল। তবে একদশক আগে তালতলা গ্রামের বাসিন্দা হোমিও ডাক্তার মোস্তফা মাসুদের খেয়াল হয় তার পৈতৃক ভিটা জমিতে শিম , লাউ ও পটল চাষ করলে কেমন হয় ?
যেই ভাবা সেই কাজ। তিনি হোমিও চিকিৎসার পাশাপাশি শুরু করলেন সবজি চাষ। শুরুতেই তিনি সাফল্য পান পটল চাষে। ফলে তিনি নিজের সব ও মেধা মনন ও উৎসাহ প্রয়োগ করলেন পটল চাষে। এখন তিনি সফল পটল চাষির পরিচিতি পেয়েছেন। তার দেখাদেখি এই এলাকার অনেকেই পটল চাষে নেমে পড়েছেন।
পটল চাষ ও পটল গ্রাম সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই গ্রামের প্রবীন ব্যাক্তি শওকত মাষ্টার বরলেন , বর্তমানে বগুড়া তথা উত্তর জনপদে ঢাকা –বগুড়া মহা সড়কের পাশে সবচেয়ে বৃহত্তম পাইকারি সবজীর হাট মহাস্থান হাট। এই হাটের সবজীর মধ্যে পটলের একটা বৃহত্ততম চালান আসে মোকামতলার পটল গ্রাম থেকেই। এই গ্রামের উৎপাদিত পটল মানে উৎকৃষ্ট হওয়ায় বিভিন্ন জেলার পাইকাররা অপেক্ষায় থাকে।
পটলের চাষ লাভ কেমন জানতে চাইলে বিখ্যাত পটল চাষী ডাক্তার মাসুদ জানান, তিনি বিঘা প্রতি পটল চাষ করে বছরের ৮ মাসে গড়ে বিক্রি করেন ১ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে চারা রোপন, নিড়ানী,জাংলা ( মাচা) তৈরী, পটল তুলে হাট পর্যন্ত পরিবহনে খরচ পড়ে সর্বোচ্চ ২৫/৩০ হাজার টাকা। ফলে গড়ে ৭০/ ৭৫ হাজার টাকাতো আসেই।
এক্ষেত্রে কৃষি বিভাগ কোন সহযোগিতা করে কিনা জানতে চাইলে মোস্তফা জানান, তারা ( কৃষি বিভাগের লোক ) ক্ষেত পরিদর্শন করেন, পরামর্শ দেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন