খুলনায় ‘কঠোর-শিথিল' মিশ্র অবস্থার মধ্য দিয়ে সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হচ্ছে। নগরীর প্রায় সব দোকানপাট ব্যবসা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ও অফিস আদালত বন্ধ রয়েছে। গণপরিবহণ চলছে না। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। র্যাবও নজরদারি চালাচ্ছে।
তবে মোটর সাইকেল চলাচলে কোনো নিয়ন্ত্রন আরোপ করা হয়নি। মুভমেন্ট পাশ ছাড়াই মানুষ অবাধে চলাচল করছেন। চায়ের দোকানগুলো পর্দা টানিয়ে বেচাকেনা করছে। এসব দোকানে খরিদদারের সংখ্যা কম নয়। নড়রজুড়ে ইজিবাইক ও রিকশা চলছে। মাঝে মধ্যে দু একটি মাহেন্দ্র-সিএনজি চোখে পড়ছে। অলিগলির ভিতরে মুদি দোকানগুলো খোলা রয়েছে। পুলিশের উপস্থিতি দেখলে সেগুলো সাথে সাথে বন্ধ করে ফেলা হচ্ছে। আবার পুলিশ চলে গেলে খোলা হচ্ছে। বাজারগুলোতে ক্রেতাদের ভীড় দেখা গিয়েছে।
সচেতন মহলের অভিযোগ, যারা লকডাউন ভেঙ্গে ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন, তারা সবাই বলছেন দরকারে বের হচ্ছেন। আসলে অনেকেই বের হয়ে অপ্রয়োজনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পুলিশের জোরালো ভ্রাম্যমান টহলের অভাবেই লকডাউন কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে না। পর্যাপ্ত চেকপোস্ট না থাকায় মানুষ প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে লকডাউন ভেঙ্গে নির্বিঘ্নে চলাচল করছে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকে নগরবাসী স্বাগত জানিয়েছেন। করোনা নিয়ন্ত্রনে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে আরো ব্যাপক পরিসরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন