বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বরগুনায় ক্লিনিক ব্যবসা জমজমাট, ৯০টির ৫৩টিই নিবন্ধনহীন

বরগুনা থেকে জাহাঙ্গীর কবীর মৃধা | প্রকাশের সময় : ১৫ এপ্রিল, ২০২১, ৫:৩৬ পিএম

চিকিৎসাসেবার নামে বরগুনার ৬টি উপজেলায় জমজমাট ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠছে প্রায় শতখানেক প্রতিষ্ঠান। এর সিংহভাগই নিবন্ধনহীন। পরিচালিত হচ্ছে অবৈধ পন্থায়। আবাসিক বাড়িঘর, হাটবাজার, অলিগলিতে রয়েছে কথিত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ছড়াছড়ি। ব্যাঙের ছাতার ন্যায় বেড়ে উঠা এসব সেবাপ্রতিষ্ঠানের অপচিকিৎসায় অগনিত নবজাতক, প্রসূতিসহ নানাধরণের রোগী হচ্ছে লাশ। মাঝেমধ্যে হামলা-মামলা-অভিযান পরিচালিত হলেও প্রতিকার পরিলক্ষিত হয়নি কখনো। দীর্ঘদিন যাবৎ চিকিৎসাসেবার নামে অপচিকিৎসা অব্যাহত থাকলেও নিরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরগুনা জেলায় কথিত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সিংহভাগই সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে। বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের মেয়াদ তিন-চার বছর পূর্বেই শেষ হয়েছে, নবায়ন না করেও সেসব হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনোস্টিক সেন্টার মহাসমারোহে চলছে কর্তৃপক্ষের চোখের সামনে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোনো নিবন্ধন না নিয়ে কোথাও কোথাও শুধু ট্রেড লাইসেন্স দিয়েও অসাধু ব্যবসায়ীরা চিকিৎসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ লাইসেন্সের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরে আবেদন পাঠিয়েই যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো হাসপাতাল, ক্লিনিক, নার্সিং হোম খুলে বসেছেন। কেউ বা পরিচালনা করছেন রোগ নির্ণয়কারী ডায়াগনস্টিক সেন্টার। অবৈধ ভুঁইফোড় নামকাওয়াস্তে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। কালেভদ্রে মামলা-হামলা-ঝটিকা অভিযান পরিচালিত হলেও সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েই বছরের পর বছর ধরে সচল থাকে চিকিৎসাসেবার নামে সাইনবোর্ড-সর্বস্ব এপ্রতিষ্ঠানগুলো।
বরগুনা জেলায় চলমান স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, বরগুনা সদরে ডক্টরস কেয়ার এন্ড হসপিটাল, হোলি কেয়ার প্যাথলোজি এন্ড ডায়াগনোস্টিক ল্যাব, হিউম্যান কেয়ার ডায়াগনোস্টিক সেন্টার,শরীফ এক্সরে এন্ড প্যাথলোজি, কুয়েত প্রবাসী ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, আল-রাজী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, বাংলাদেশ ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, মডার্ন সেন্ট্রাল ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, উপকুল ডায়াগনোস্টিক এন্ড কনসালটেন সেন্টার, মেডিনেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, পপুলার মেডিকেল সার্ভিসেস, লেকভিউ ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, নিউ গ্রীন লাইফ ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, রংধনু ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, নিউ ল্যাব এইড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, সেবা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, বরগুনা কুয়েত প্রবাসী ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, শেফা ডিজিটাল ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, ফুলখুড়ি ক্লিনিক এন্ড প্যাথলোজি, কেয়ার মেডিকেল সেন্টার, সুর্যের হাসি নেটওয়ার্ক ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, পায়রা ডায়াগনোস্টিক কমপ্লেক্স, শেফা ডিজিটাল ডায়াগনোস্টিক সেন্টার এন্ড হসপিটাল, ডক্টরস কেয়ার ািক্লনিক এন্ড হসপিটাল, ইসলামী আই হসপিটাল, লাইাফ কেয়ার ক্লিনিক, কুয়েত প্রবাসী হসপিটাল, আল-রাজি ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, মডার্ন সেন্ট্রাল ক্লিনিক ও সন্ধানী আই হসপিটাল, আমতলী উপজেলায় আমতলী ডিজিটাল ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, গাজীপুর ডায়াগনোস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার, সিলভি ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, হাসিনা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, রুম্মান মুক্তা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, বেলভিউ ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, মেডিনোভা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, তামান্না ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, মেডিনোভা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ও সময় মেডিকেয়ার এন্ড হসপিটাল, পাথরঘাটা উপজেলায় জহুরা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, গাজী মেডিকেল সার্ভিস এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, দোয়েল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, নেছারিয়া ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, পাথরঘাটা সৌদি প্রবাসী হসপিটাল এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, নিই মেডিনোভা ডিজিটাল ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, মা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, মা এইড হেলথ কেয়ার ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, বিসমিল্লাহ ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, গাজী ডিজিটাল ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, সুফিয়া ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, পাথরঘাটা স্কয়ার ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, পাথরঘাটা ইসরামী হসপিটাল এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, সংগ্রাম হেলথ কেয়ার এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, মাজেদা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, শাপলা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, মনিরা ্ইয়াসমিন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, দি এ্যাপোলো ডায়াগনোস্টিক সেন্টার এন্ড ক্লিনিক, সার্জিকেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, দোয়েল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, পাথরঘাটা সৌদি প্রবাসী হসপিটাল এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, পাথরঘাটা ইসলামি হসপিটাল ্এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ও মাজেদা ক্লিনিক, বেতাগী উপজেলায় খান প্যাথলোজি, নাভানা মেডিকেল সার্ভিসেস লিঃ. সেবা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, মাতৃছায়া জেনারেল হসপিটাল ও বেতাগী ডক্টরস ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, বামনা উপজেলায় বামনা ডিজিটাল ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, আকন ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, সততা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার এন্ড ডক্টরস চেম্বার, সৌদি প্রবাসী হসপিটাল এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, বামনা সৌদি প্রবাসী হসপিটাল এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, বামনা ইসলামিয়া ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, আরএন হসপিটাল এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, দোয়েল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ও বামনা ইসলামিয়া ক্লিনিক, তালতলী উপজেলায় তালতলী ডিজিটাল ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, তালতলী ইসলামী হসপিটাল এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ও দোয়েল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার। র‌্যাব ও প্রশাসনের যৌথ অভিযান চালিয়ে পাথরঘাটায় ভুয়া ডাক্তার ও নিবন্ধনহীন ক্লিনিক থেকে ৩লাখ ৮০হাজার টাকা জরিমান করে। এক্লিনিকগুলো হলো পাথরঘাটা সৌদি প্রবাসী হাসপাতাল, শাপলা ক্লিনিক, ইসলামিয়া ক্লিনিক ও মাজেদা ক্লিনিক।
জেলার ািবভিন্ন হাট-বাজারে অবস্থিত সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঘিরে গড়ে ওঠা দালালনির্ভর এসব নার্সিং হোম, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে নিরীহ মানুষ। বরগুনা সদরের এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের বড় বালিয়াতলী গ্রামের সুখঅ (৩০) নামের এক প্রসূতি মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বরগুনাস্থ কুয়েত প্রবাসী হাসপাতালের হাতুড়ে ডাক্তারের অপচিকিৎসায়। তালতলী উপজেলার শিকারীপাড়ার মনির হোসেনের স্ত্রী সালমা (২৫) পাথরঘাটার সৌদি প্রবাসী হাসপাতালের কথিত ডাক্তারের অপচিকিৎসায় মারা যান। মারা যান নবজাতকসহ তাজেনুর বেগম। পাথরঘাটার শাপলা ক্লিনিকে ম্যানেজারের অপচিকিৎসায় প্রাণ হারান তাসলিমা। বরগুনার মডার্ণ ক্লিনিকে অনভিজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসায় জরায়ু অপারেশনে একাধিক রোগী প্রাণ হারায়। বামনায় হাতুড়ে ডাক্তারের অপচিকিৎসায় মোসা. মাকসুদা বেগম নামে এক প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় বামনা মাতৃসদন ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। তালতলী উপজেলায় হাতুড়ে চিকিৎসক মনিরুল ইসলামের অপচিকিৎসায় আলী আকবর (৬০) নামক রোগীর মৃত্যু হয়। সার্জন না হয়েও ডা. নাইমা কবির আমতলী মাতৃসদন সাজিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গৃহবধূ খাদিজা বেগম নামের জরায়ু ও এফেন্টিস ভুল অপারেশন করায় মৃত্যুও কোলে ঢলে পড়েন। বেতাগীর মাতৃছায়া জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেবার নামে চলছে গলাকাটা অবৈধ রমরমা বাণিজ্য। প্রসূতি মায়েদের গর্ভের সন্তান সিজার করার সময় একাধিক শিশু ও মায়ের মৃত্যুর খবরও রয়েছে অনেক। একশ্রেণির দালাল ও সরকারি হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে সিন্ডিকেট করেই এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। বিভিন্ন সময় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত এসব অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়, আটক করে জেলে পাঠায় এবং জরিমানার দন্ড জারি করে। অভিযুক্ত ক্লিনিকগুলো সিলগালাও করে দেওয়া হয়। কিন্তু নানা কৌশলে প্রতিষ্ঠানগুলো সচলই থাকে বারোমাস।
এসকল ক্লিনিকের কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য বিভাগের কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছে না। নেই কোন জরুরি বিভাগ, নেই রোগ নির্ণয়ের মানসম্মত যন্ত্রপাতি, পরীক্ষাগার বা ল্যাব টেকনোলজিস্ট। মাঝেমধ্যে ধার করা পার্টটাইম চিকিৎসক দিয়ে চলছে জটিল অপারেশনসহ নানারোগর চিকিৎসা। কম বেতনের অনভিজ্ঞ নার্স, আয়া ও দারোয়ানই হচ্ছে এ ক্লিনিকগুলোর একমাত্র ভরসা। কম্পিউটারাইজড, পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ও অত্যাধুনিক নামে নামিদামী চিকিৎসকদের নাম সম্বলিত চোখ ধাঁধানো ব্যানারসহ ডিজিটাল সাইনবোর্ডসর্বস্ব এ ক্লিনিকগুলো জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় মানুষ রোগ নিরাময়ের জন্য এসে অপচিকিৎসার জালে আটকা পড়ছেন। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত সহজ-সরল অসহায় মানুষগুলো প্রতিনিয়তই তাদের পাতা ফাঁদে আটকে নিঃস্ব হচ্ছেন।
এসকল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বসার কথা মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করে বলা হলেও তাদের কেউ কেউ মাসে দু-একবার এসে অপারেশন করে চলে যান। বেশীরভাগ ক্লিনিকেই নিয়মিত কোন চিকিৎসক থাকেন না। এসব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নাম ভাঙিয়ে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়ে রোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। জেলা কিংবা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে পর্যাপ্ত মনিটরিং কিংবা জবাবদিহি না থাকায় অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি না থাকার কারণে এক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো চালুর পর থেকে অবৈধ কর্মকান্ড রীতিমতো প্রতিযোগিতায় মেতে উঠে।
ভুক্তভোগী মহারাজ অভিযোগ করে বলেন, ‘ক্লিনিকের সেবা নিতে গিয়ে আমার প্রসূতি স্ত্রীকে হারিয়েছি। অধিকাংশ ক্লিনিকেই কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নাই। ক্লিনিকের ম্যানেজার নিজেই সিজার করেন। অনভিজ্ঞ-অদক্ষ লোকে অপারেশন করলে যা হবার সেটাই হচ্ছে প্রতিদিন। এটা দেখারমত কেউ নেই।’
বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স প্রাপ্তি ব্যতিত কোন ধরণের চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান চালু করার সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, অবৈধ পন্থায় গড়ে উঠা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের এখতিয়ার প্রশাসনের।’
এব্যাপারে বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘জেলায় নিবন্ধনহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা পেলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন