বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুড়িগ্রামে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার ৪

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৫ এপ্রিল, ২০২১, ৯:০৪ পিএম

কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও কুড়িগ্রাম মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক আতাউর রহমান মিন্টুর হাত-পা কর্তনের ঘটনার ২৭ দিন পর মূল আসামি মেহেদী হাসান বাঁধনসহ ৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূল আসামি গ্রেফতারের মধ্যদিয়ে পুলিশ চাঞ্চল্যকর এ মামলার রহস্য উদঘাটন করতে সমর্থ হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মেহেদী হাসান বাঁধন (৩০), মো. রশিদ মিয়া (৩৫), মাজহারুল ইসলাম মনোয়ার (৩০) ও আল আমিন আহম্মেদ শুভ (২৬)।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে এক প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা এই তথ্য প্রদান করেন। তিনি জানান, ঘটনার পর চলতি মাসের ৯ এপ্রিল এই নারকীয় ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আল আমিন আহম্মেদ শুভকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করায় তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। শুভ’র কাছ থেকে অপরাপর আসামিদের সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এরপর পুলিশ সাঁড়াশি অভিযানে নামে। মামলার পর থেকে আসামিরা দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিল। এরমধ্যে তারা ৭/৮ বার জায়গা বদল করে।
বিভিন্ন সূত্রে মূল আসামি বাঁধনসহ অন্যান্যরা ঢাকায় অবস্থান করছে বলে শনাক্ত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঢাকার দক্ষিণ খান এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত মাস্টারমাইন্ড মেহেদী হাসান বাঁধন এবং রশিদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়।
দুই আসামীকে ঢাকায় গ্রেপ্তার করে তাদেরকে রাতেই কুড়িগ্রামে নেয়ার পথে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ভোররাতে অপরাপর আসামিদের গ্রেপ্তারে নামে পুলিশ। পরে ভোরের দিকে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে মাজহারুল ইসলাম মনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চার আসামিদের মধ্যে বাঁধন ও আব্দুর রশিদ এজাহারভুক্ত আসামী। মাজহারুল ইসলাম মনোয়ার ও আল আমিন আহম্মেদ শুভ এজাহারভুক্ত না হলেও তদন্তে তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। আসামিরা প্রাথমিকভাবে হত্যাকান্ডে ৬ জন অংশ নেয় বলে স্বীকার করে। এছাড়া সহায়তায়তা করা, আশ্রয় দেয়া এবং সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহ্নত অস্ত্র সরবরাহ ও সংরক্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে অপরাপর সকলকে আইনের আওতায় আনতে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন