সাগরে মাছের প্রজনন ও সংরক্ষণে আগামী ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই এই ৬৫ দিন সমুদ্রে ট্রলারের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সীমানায় এ মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ২০ মে থেকে ৩০ জুলাই মোট ৬৫ দিন মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছরের এ সময় সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এই ৬৫ দিন সব ধরনের ট্রলারের মাধ্যমে মাছ ও ক্রিস্টাশিয়ান্স (চিংড়ি, লবস্টার, কাটলফিস ইত্যাদি) আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়।
এপ্রসঙ্গে মৎস্য সংশ্লিষ্টরা জানান, এই নিষেধাজ্ঞায় সুবিধা অসুবিধা দুটোই আছে। তাদের মতে দেখা গেছে ওই নিষেধাজ্ঞার সময়ে মাছের পরিমাণ বৃদ্ধি ও আকার যেমন বড় হয় তেমনি পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশের ট্রলার সাগর থেকে প্রচুর মাছ শিকার করে নিয়ে যায়।
মাছের জন্য সাগরে কোন সীমা রেখা না থাকায় এসমস্যা হয়। আবার ওই সব দেশের মৎস্য শিকারীরা অবৈধভাবে ও বাংলাদেশ পানি সীমা থেকেও মাছ শিকার করে নিয়ে যায়। তাদের মতে এই নিষেধাজ্ঞা ভারত, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের সাথে মিল রেখে করা হলে ভালো হয়।
ওই নিষেধাজ্ঞার সময়ে বেকার হবে হাজার হাজার মৎস্য জীবী। তাদের ভাতা ও মানবিক সহযোগিতা দেয়ার বিষয়টিও বিবেচনার কথা বলেন তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন