নগরীর ফেরীঘাট মোড়। সময় বিকাল পৌনে ৬ টা। কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা একজন মোটরসাইকেল আরোহীকে থামার সংকেত দেন। থামিয়ে তাকে গন্তব্য ও বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলেন খুলনা সদর থানার একজন সাব ইন্সপেক্টর। কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে এক গাল হাসি দিয়ে বললেন, ‘স্যার সারাদিন বাসায়, বিকালে তাই একটু বের হলাম।’ জরিমানা গুনতে হলো মোটর সাইকেল আরোহীকে। নগরীর খালিশপুর পুরাতন পৌরসভার মোড় এলাকায় এক যুবককে জরিমানা করা হয়। বাইরে বের হওয়ার কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি সে। এক পর্যায়ে পুলিশের কাছে সে স্বীকার করে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ার জন্য সে বাসা থেকে বের হয়েছে।
বিকেলে নগরীর জিরোপয়েন্ট এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানালেন, যাদের আটক করা হচ্ছে, তাদের বেশীরভাগই কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারছে না। যুক্তিযুক্ত কারণ ছাড়াই শহরময় তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রয়োজনে মানুষ যে ঘর হতে বের হচ্ছেন না, তা নয়। কিন্তু অকারণে বের হওয়া মানুষের সংখ্যাই বেশী।
খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন ৫০ থেকে ৮০টি মামলা দায়ের হচ্ছে। জরিমানাও আদায় করা হচ্ছে। তারপরও সচেতনতা যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে।
খুলনা জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বলেন, আজ শুক্রবার খুলনায় ৩৬ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৮৭ টি মামলা করা হয়েছে। বুধবার ৮৫ টি মামলা হয়েছে। জেলা প্রশাসন কাজ করছে। লকডাউন বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জনগণের মাঝে আরো বেশী সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন