রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ভুয়া কাগজ নিয়ে রাস্তায় প্রাইভেটকার জরিমানা ৩ হাজার

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০০ এএম

কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন সাধারণ মানুষকে। সদুত্তর না দিতে পারলে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে অনেককে। আবার অনেককে গুনতে হচ্ছে জরিমানাও। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই লকডাউনে রাস্তায় বের হলেই পুলিশ জানতে চাইছেন ‘মুভমেন্ট পাস’ আছে কি না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস থামিয়ে জানতে চাইছেন কি কারণে বা কি কাজে বের হয়েছেন। যথাযথ কারণ বলতে পারলেই যাতায়াত করতে দিচ্ছে পুলিশ। এছাড়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া রাস্তায় মোটরসাইকেল, কভার্ড ভ্যান ও পিকআপ যারা বের করেছেন তাদের মামলা দিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ।
মো. রায়হান গাবতলী যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলেন। পথে পুলিশ তাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাজিনকে নামিয়ে দেয়ার জন্য গাবতলী যাচ্ছিলাম। এ কারণে পুলিশ আমাকে দুই হাজার টাকার মামলা দিয়েছে। সোলাইমান হোসেন নামের একজন লকডাউনে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছেন মেরামত করার জন্য। তাকেও জরিমানা করেছে পুলিশ।
তিনি বলেন, আমি মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি বলে এক হাজার টাকার মামলা দিয়েছে। পুলিশ বলেছে, লকডাউন শেষে মোটরসাইকেল ঠিক করাতে। দুটি ঘটনাই রাজধানীর মিরপুরে।
অন্যদিকে ভুয়া প্রত্যয়নপত্র বানিয়ে রাস্তায় বের হওয়া ও লকডাউনের নির্দেশনা অমান্য করায় একটি কোম্পানির প্রাইভেটকারকে তিন হাজার টাকার মামলা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গতকাল দুপুরে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরের ট্রাফিক পুলিশ মামলাটি দেয়।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের স্বাক্ষর দিয়ে বানানো প্রত্যয়নপত্র নিয়ে প্রাইভেটকারটি রাজশাহী থেকে ঢাকায় এসে আবার রাজশাহীতে ফেরার পথে মামলাটি দেয়া হয়।
পল্লবী জোন ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. বাদল তালুকদার বলেন, একটি কোম্পানির প্রাইভেটকার ভুয়া পাস বা কাগজ বানিয়ে রাস্তায় বের হয়েছে। এ অপরাধে ওই কোম্পানির প্রাইভেটকারটিকে তিন হাজার টাকার মামলা দেয়া হয়।
গাড়ির চালক আরিফুল ইসলাম বলেন, তুবা গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আসলাম উদ্দিন স্যার আমাকে এ কাগজ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে কোম্পানির অক্সিজেন সিলিন্ডার ও অক্সিজেন মাস্ক একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে করে প্রাইভেটকারটি রাজশাহী থেকে ঢাকায় নিয়ে আসি। শুক্রবার দুপুরে মিরপুর-১৪ নম্বর নামিয়ে দিয়ে রাজশাহী ফিরছিলাম। এ সময় রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর এলাকায় এলে ট্রাফিক পুলিশ তিন হাজার টাকার মামলা দেয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন