প্রথম ম্যাচে ভাগ্য সহায় হয়নি কারোরই। না মুস্তাফিজুর রহমানের। না রাজস্থান রয়্যালসের। বোলিং পারফরম্যান্সটা ভালো হয়নি। মুস্তাফিজ হয়ে ছিলেন দলের খরুচে বোলার। ৪৫ রান দিয়ে ছিলেন উইকেট শূন্য। ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসনের সেঞ্চুরির পরও হেরে বসে দল রাজস্থান। প্রথম ম্যাচে হাতের নাগালে থাকা জয়টাও ধরা দেয়নি।
গতপরশু আইপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই মাঠের লড়াইয়ের চিত্রনাট্য পাল্টে গেল। মুস্তাফিজ নিজে হাসলেন। দলকেও হাসালেন। এবারের আইপিএলে এই প্রথম উইকেট পেলেন বাঁ-হাতি এ তারকা পেসার। দল রাজস্থানও পেল প্রথম জয়ের দেখা। ফিজের প্রথম উইকেটে প্রাপ্তির পর পরই রাজস্থান বাংলায় টুইট করে, ‘ফিজের পয়লাতে পয়লা, এটাই তো চাই!’
বল হাতে দ্যুতি ছড়িয়ে দুরন্ত বোলিং পারফরম্যান্স উপহার দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। রান খরচায় মিতব্যয়ী কাটার মাস্টার উইকেটও পেলেন দুটি। প্রতিপক্ষ দিল্লি ক্যাপিটালসকে অল্পতেই আটকে রেখে মুস্তাফিজের দল রাজস্থান রয়্যালসও জিতল ৩ উইকেটে। এবং সেটা ২ বল হাতে রেখেই।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট হাতে মাঠে নামতেই দিল্লির ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন রাজস্থানের বোলাররা। ম্যাচ সেরা জয়দেব উনাদখাত চার ওভারে ১৫ রান দিয়ে একাই শিকার করেন ৩ উইকেট। সমান ওভারে মুস্তাফিজ ২৯ রান খরচায় নেন দুটি উইকেট।
তাইতো অধিনায়ক ঋশব পান্ত (৫১ রান, ৩২ বলে ৯ বাউন্ডারিতে) দাপুটে এক হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকালেও ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রানে গুটিয়ে যায় দিল্লির ইনিংস।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ডেভিড মিলার অসাধারণ এক অর্ধ-শতকে জয়ের ভিত গড়ে দেন। ৪৩ বল ৭ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৬২ রান নিয়ে সাজঘরে ফেরেন মিলার। তার দেখানো পথে হেঁটে ক্রিস মরিস (৩৬*) ও জয়দেব উনাদকাত (১১*) দলের লক্ষ্য টপকে ৭ উইকেটে ১৫০ তুলে তবেই মাঠ ছাড়েন। আবেশ খান তিনটি, ক্রিস ওকস ও ক্যাগিসো রাবাদা দুটি করে উইকেট ছিনিয়েও রাজস্থানের জয় আটকাতে পারেননি। দু’দিন পর চেন্নাইয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে মুস্তাফিজের রাজস্থান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন