শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

বাসার দরজা ভেঙে অধ্যাপক তারেক শামসুর রেহমানের লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০২১, ৪:১৩ পিএম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক তারেক শামসুর রেহমান আর নেই। আজ শনিবার (১৭ এপ্রিল) উত্তরায় তার ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শফিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশের উত্তরা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কামরুজ্জামান সরদার জানান, আমরা তালা ভেঙে তার রুমের ফ্লোর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছি।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে থানা পুলিশ তারেক শামসুর রেহমানের উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের রাজউক অ্যাপার্টমেন্ট প্রজেক্টের চার নম্বর সড়কের ১২/এ দোলনচাঁপা ফ্ল্যাট থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। এক পা বাথরুমে এবং শরীরের বাকি অংশ রুমের ফ্লোরে পড়ে ছিল। তিনি স্ট্রোক করেছেন নাকি অন্য কোনও কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করছে।
বছর দুই আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরে যান এই শিক্ষক। তিনি উত্তরায় ওই ফ্ল্যাটে একাই বসবাস করতেন।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক সদস্য তারেক শামসুর রেহমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। আন্তর্জাতিক রাজনীতি, আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক ও বৈদেশিক নীতি এবং তুলনামূলক রাজনীতি নিয়ে তার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রয়েছে।

প্রতিবেশীরা জানান, তারেক শামসুর রেহমান উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, শ্বাষকষ্টসহ বেশকিছু রোগে ভুগছিলেন। তিনি এই ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। গতকাল রাতে সর্বশেষ এক প্রতিবেশীর সঙ্গে তার কথা হয়েছে। সকালে তারাই পুলিশে খবর দিয়েছেন।
দোলন চাপা ভবন-২ এর ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী দেওয়ান বলেন, আজ (১৭ এপ্রিল) সকাল পৌনে ৮টার দিকে তার কাজের বুয়া এসে কলিং বেল চাপে। কিন্তু ভেতর থেকে কোনও সাড়া না পেয়ে চলে যায়। সে আরেক বাসায় কাজ করে এসে আবার কলিং বেল চাপে। তখনও সাড়া না পেয়ে ভবনের নিচে কেয়ারটেকারকে বিষয়টি জানায়। এরপর কেয়ারটেকার আমাকে বিষয়টি জানালে আমি পুলিশে খবর দেই।
মোহাম্মদ আলী দেওয়ান জানান, অধ্যাপক সাহেব একা থাকেন বলে আগেই উনার আমেরিকা প্রবাসী বোন ও বোন জামাইয়ের নম্বর দিয়ে রেখেছিলেন। আমি তাদের ফোন করে বিষয়টি জানাই। পরে পুলিশসহ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।
রাজউক অ্যাপার্টমেন্টের এ-ব্লকের ফ্যাট মালিক সমিতির যুগ্ন সম্পাদক মাহমুদুল হোসেন রাসেল বলেন, ওনার উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ অ্যাজমার প্রবলেম ছিল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন