মেধাবী ছাত্র হাসান মাহমুদ। তবে গরিব ঘরের। বরগুনার বেতাগী উপজেলার করুনা গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মাওলানা হাফিজুর রহমানের ছেলে। এবার মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু অর্থাভাবে সেই আনন্দ এখন বিষাদে পরিণত হতে যাচ্ছে হাসানের। দারিদ্র্যতার কারণে সুযোগ পেয়েও চিকিৎসক হওয়া নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তার বাবা-মা। হাসানের চোখেমুখে এখন শুধু হতাশা।
জানা যায়, হাসান এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে মেধা তালিকায় ১৯৫তম স্থান অধিকার করে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তার বাবা মাওলানা হাফিজুর রহমান উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের মাদরাসা বাজারে ৫ বছর ধরে ক্ষদ্র ব্যবসা করে আসছেন। এর আগে বেতাগী সদরে ইসলামী ফাউন্ডেশনের মডেল কেয়ার টেকার পদে চাকরি করতেন। ৫ সদস্যর পরিবার নিয়ে সংগ্রাম করে কোনোমতে সংসার চলছে তাদের।
মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ স্বপ্ন পূরণে প্রথম ধাপ অতিক্রম করলেন হাসান। কিন্ত মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি ও লেখাপড়া চালিয়ে ডাক্তার হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। ছেলে ডাক্তার হবে এ স্বপ্নে বিভোর গৃহিণী মা হোসনে আরা বেগম। হাসান মাহামুদ বরিশাল সরকারি হাতেম আলী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ এবং করুনা মোকামিয়া কামিল মাদরাসা থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পান। এছাড়া ৫ম ও ৮ম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করেন।
মেধাবী ছাত্র মো. হাসান মাহামুদ জানান, বাবা-মায়ের স্বপ্ন আর অনুপ্রেরণা আজকের এ সাফল্য। দাদী ফাতেমা বেগম বেঁচে থাকলে সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন। ভর্তি পরীক্ষার তারিখ জানার পর প্রস্তুতি হিসেবে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা করে পড়ালেখা করতেন। ছোটবেলা থেকে ডাক্তার হওয়ার লক্ষ্যেই পড়াশোনা করেছেন মায়ের অনুপ্রেরণা নিয়ে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন