গত কয়েকদিন ধরে দেশের সবচেয়ে উষ্ণ ও কমবৃষ্টিপাতের এলাকা হিসেবে পরিচিত নাটোরের লালপুর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। প্রতিদিনই বাড়ছে এই অঞ্চলের তাপমাত্রা। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। প্রকৃতি যেন ছাড়ছে তপ্ত নিঃশ্বাস।
জানা যায়, ঘরে-বাইরে কোথাও ছিটেফোঁটা স্বস্তি নেই। সূর্যের তীব্র তাপদাহে পুড়ছে মানুষ, এছাড়া গবাদি পশু, সবুজ প্রকৃতি ও ফসলের ক্ষেতও। রুক্ষ আবহাওয়ায় গাছের পাতাও যেন নড়ছে না। ফলে বৃষ্টির জন্য হাহাকার পড়ে গেছে এই অঞ্চলে। কয়েক দিনের টানা তাপদাহে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এদিকে প্রকৃতিও যেন নীরব হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় উপজেলার প্রতিটি এলাকার নলক‚পে দেখা দিয়েছে পানি সঙ্কট। বাড়ির নলক‚প গুলোতে ১০-১৫ বার চেপেও এক গøাস পানি বের হচ্ছে না।
গতকাল শনিবার সকাল থেকে তীব্র খরতাপ ও ভ্যাপসা গরমে শরীর থেকে শুধু ঘাম ঝড়ছে। বাইরে প্রচন্ড খরতাপে শরীর জ্বলে যাচ্ছে। ঘরে ফ্যানের বাতাসেও যেনো আগুনের হাবগি বইছে, কোথাও একটু শান্তির ছায়া নেই। বৈশাখের এই কাক ফাটা রোদ্দুর ও গরমে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে রোজাদাররা। তীব্র খরতাপ ও ভ্যাপসা গরমে রোজাদারদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। তেষ্ঠায় বুক গলা শুখিয়ে আসছে। এই তীব্র খরতাপ ও ভ্যাপসা গরম থেকে একটু স্বস্থি পেতে অনেকেই দুই থেকে তিনবার গোসল করছেন। তীব্র খরায় গাছ ও প্রাণিকুল বিপর্যস্থ হযয়ে পড়েছে।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস বলছে, ঈশ্বরদীসহ আশপাশের অঞ্চলরের ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। এই দাবদাহ অব্যাহত থাকবে। তবে, বাতাসের আদ্রতায় জলীয় বাস্পের পরিমাণ বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরম বেশি অনুভ‚ত হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন