শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

প্রশাসনের তৎপরতায় যশোরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমছে

যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ৪:৫২ পিএম

যশোর জেলায় করোনা পজেটিভের সংখ্যা বেড়েই চলছিল দ্বিতীয় ঢেউএর প্রথমদিকে। প্রতিদিনই প্রায় অর্ধশত করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছিল। গত ৩দিন পর পর শনাক্তের সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে। এখন গড়ে ২/৩জন আক্রান্ত হচ্ছে।

যশোরের করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে যশোরের প্রশাসন সর্বোত চেষ্টা করে। ব্যাপকভাবে প্রচার চালানো হয় জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য। জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার ও সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ আবু শাহিন সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন করোনা পরিস্থিতি নিয়ে। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা সহকারি কমিশনার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা জেলা ও উপজেলায় তৎপর রয়েছেন। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সার্বিক বৈঠক হয় সার্কিট হাউজে।

বৈঠকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউ চালু করতে উদ্যোগ নেয় জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। জেলায় সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধি ও ব্যক্তি উদ্যোগ সমন্বয় করে হাসপাতালে আইসিইউ চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সভায় তিনি সরকারি ব্যবস্থাপনায় দিকে না তাকিয়ে যশোরের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যশোরে আইসিইউ চালু করার মতামত প্রদান করেন।

সভায় আলোচনার প্রেক্ষিতে সরঞ্জাম ক্রয়ে সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গনি খান পলাশ, শহিদুল ইসলাম মিলনের নেতৃত্বে ব্যবসায়ী নেতারা আর্থিক সহায়তা করার আশ^াস দেন।

এছাড়া করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে করোনা কমিটি। ব্যবসায়ী নেতারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে দোকান খুললেও তারা স্বাস্থ্যবিধি মানতে বা মানাতে প্রশাসনকে কোন সাহয্য করছে না বলে দাবি করেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।

যশোরের বাজারগুলোতে সংক্রমণ ও জনসমাগম কমাতে যশোরের কাঁচাবাজারগুলো সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বড়বাজারের সবজি বিক্রির স্থান কালিবাড়ি থেকে খালধার রোড অভিমুখে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর সবজি বাজার ফাঁকা হওয়ার পরে সেখানে মাছবাজার বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

যশোরের সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ আবু শাহিন জানান, আমরা জনসচেতনতা বৃদ্ধির জোরদার পদক্ষেপ নিয়েছি।
করোনায় দ্বিতীয় ঢেউএ মৃত্যু হয়েছে ৬জন। এই নিয়ে এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৭জন।

এদিকে, যবিপ্রবির জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ অর্ণব দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে নমুনা পরীক্ষায় গত কয়েকদিনে করোনা শনাক্তে হার কমে গেছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন