শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অবশেষে আন্তঃব্যাংক চেক লেনদেন চালু

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইটি সচল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

টানা পাঁচদিন ও দুই কার্যদিবস বাংলাদেশ ব্যাংকে আইটি বিপর্যয়ের কারণে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে টাকা লেনদেন বন্ধ থাকার পর সচল হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকিং সেক্টরের আর্থিক খাতে আন্তঃব্যাংক চেক লেনদেনও চালু হয়েছে। গত ১৩ এপ্রিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুটি ডাটা সেন্টারের মধ্যে সংযোগকারী ফাইবার অপটিক্যাল কেবল বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সার্ভার ডাউন হয়ে যায়। আর্থিক খাতে লেনদেনের অন্যতম বড় দুটি মাধ্যমে আইটি বিপর্যয়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা।

এ দুটি মাধ্যমে দৈনিক গড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়ে থাকে। ‘মাইক্রোসফট ও ভিএমওয়্যার’ প্রযুক্তি টিম সমস্যা সমাধানে নিরলসভাবে কাজ করেন। অবশেষে গতকাল রোববার থেকে পুরোদমে কাজ চলছে। জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে আইটি বিপর্যয়ের কারণে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) ও আন্তঃব্যাংক চেক লেনদেনে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। রোববার থেকে চালু হয়েছে, এখন পুরোদমে কাজ চলছে। এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। নিষেধাজ্ঞার প্রথম কয়েকদিন ব্যাংকে গ্রাহক উপস্থিতি কম থাকলেও আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল বিধিনিষেধের ৫ম দিন এবং সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে রাজধানীর ব্যাংক পাড়া মতিঝিল, দিলকুশাসহ আশপাশের এলাকায় দেখা গেছে, ব্যাংকগুলোর শাখায় গ্রাহক উপস্থিতি বেড়েছে। তবে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় গ্রাহক কম। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ ব্যাংকে আসছেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, বিধিনিষেধের প্রথম দিকের তুলনায় রবিবার গ্রাহক বেড়েছে।

জমা-উত্তোলনের গ্রাহকই বেশি। গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন কারখানা খোলা থাকায় এখন সাধারণ গ্রাহকের চেয়ে করপোরেট গ্রাহকের চাপ একটু বেশি। তবে পাড়া মহল্লার ব্যাংকের শাখাগুলোতে ইউটিলিটি বিল ও বিভিন্ন ডিপোজিট জমা দেওয়ার সংখ্যা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হবে। লেনদেন-পরবর্তী আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। জানতে চাইলে মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, বিধিনিষেধের কারণে যানবাহন কম, বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ব্যাংকে আসছে না। তবে গত বৃহস্পতিবার তুলনায় গতকাল গ্রাহক কিছুটা বেড়েছে। বেশিরভাগ গ্রাহক টাকা জমা ও উত্তোলনের কাজে এসেছে। দিন যত যাবে, গ্রাহক তত বাড়বে বলে জানান তিনি। বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল শাখার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন বলেন, বর্তমানে সাধারণ গ্রাহকের চেয়ে করপোরেট গ্রাহক এখন বেশি। কারণ গার্মেন্টস খোলা, তাদের অনেক প্রয়োজনে লেনদেন করতে হচ্ছে। তবে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে। মাস্ক ছাড়া কাউকে শাখায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানান তিনি। রাজধানীর মান্ডা এলাকায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শাখায় আসা সামছুদ্দিন নামে এক গ্রাহক জানান, বিদ্যুৎ বিল দিতে এসেছি। করোনা পরিস্থিতি ভালো না। সামনে কী হয় জানি না। তাই এ সুযোগ পেয়ে বিল দিতে এসেছি। কারণ একবার শুনি ব্যাংক বন্ধ, আবার শুনি খোলা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন