চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। তারা বলেছেন, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যক্রম ফলাফল পাওয়ার জন্য বৈজ্ঞানিকভাবে দুই সপ্তাহ লকডাউন প্রয়োজন রয়েছে। গতকাল রবিবার রাতে কমিটি ৩১তম ভার্চুয়াল সভায় এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। পরে তারা করোনা প্রতিরোধে বেশকিছু সুপারিশের ব্যাপারে একমত হন।
এদিকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, ‘সোমবার সভার আগে কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে লকডাউন বাড়ানোর পরার্মশ আগে থেকেই রয়েছে।’
কোভিড-১৯ সংক্রমণ না কমার কথা মনে করিয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষকে আরও কঠোরভাবে সচেতন হতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অভ্যাস করতে হবে। সচতেনতা ছাড়া কোনও বিকল্প নেই।’
আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় লকডাউন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এবং প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে মন্ত্রিপরিষদ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ জাতীয় পরামর্শক কমিটি দুই সপ্তাহ লকডাউনের সুপারিশ করেছিল। জাতীয় পরার্মশক কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে পারে।
উল্লেখ্য, জাতীয় পরার্মশক কমিটির সুপারিশেই গত ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। এর আগে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ কমাতে গত ৫ এপ্রিল লকডাউন ঘোষণা করলেও, সীমিত পরিসরে সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত, ব্যাংক, ইত্যাদি খোলার রাখার অনুমতি দিয়েছিল। এরই একদিন পরে রাস্তায় গণপরিবহনের সংকট দেখা দিলে বুধবার (৭ এপ্রিল) থেকে সিটি করপোরেশন এলাকা গণপরিবহন চলার অনুমতি দেয় সরকার।
সর্বশেষ ১৪ এপ্রিল সকাল থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত সারাদেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন