দ্বিতীয় দফার লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিনে দক্ষিণাঞ্চলের রাস্তাঘাটে যানবাহনের সাথে জনসমাগমও বেড়ছে। গত ১৪ এপ্রিল শুরু হওয়া এ লকডাউনের প্রথম তিনদিন দক্ষিণাঞ্চলের জনজীবন মোটামুটি স্থবির থাকলেও ক্রমে তা শিথিল হতে শুরু করে। সোমবার ৬ষ্ঠ দিনে বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলে লকডাউনের খুব কড়াকড়ি ছিলনা। অনেকটাই ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্য করা গেছে সর্বত্র। মহাসড়কগুলোতে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও থ্রি-হুইলারের আধিক্য লক্ষ্য করা গেছে। কিছু কিছু জায়গায় পুলিশী তৎপড়তা থাকলেও বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই কিছুটা উদাসীনতাই লক্ষ্যণীয় ছিল।
বরিশাল মহানগরীর পোর্ট রোডের কাঁচা বাজারে স্বাভাবিক সময়ের ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে রোববার থেকেই। নগরীর অন্যান্য বাজার সহ মুদি দোকানগুলোতেও ভীড় ক্রমশ বাড়লেও অনেকেই স্বাস্থ্য বিধি মানছেন না। পোর্ট রোড বাজার সহ অন্যান্য কাঁচা বাজারগুলোতে প্রায় অর্ধেক ক্রেতারই মাস্ক নেই। নগরীর রাস্তায় ব্যাটারী চালিত রিক্সার ছড়াছড়ি। মহানগরীর কেন্দ্রেীয় বাস টার্মিনাল থেকে রূপাতলী মিনিবাস টার্মিনাল পর্যন্ত ট্যাম্পু ও ইজিবাইক সহ বিভিন্ন ধরনের থ্রি-হুইলারের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। চালকদের দাবী ‘গাড়ী না চালালে তারা কি খাবেন’ ? আর যারা যাত্রী, তাদের বক্তব্য ‘দৈনন্দিন প্রয়োজনেই রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছেন’।
বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলের সর্বত্রই এ মাসের শুরু থেকে করেনা সংক্রমন হু হু করে বেড়ে চললেও তা থেকে উত্তরণে এ ঢিলেঢালা লকডাউন ভাল কোন ফল দেবেনা বলেই মনে করছেন চিকিৎসা বিশেজ্ঞগণ। চলতি মাসের গত ১৯ দিনে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় ২ হাজার ১৭৬ কোভিড-১৯ রোগি শনাক্ত হয়েছে। এসময়ে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। অথচ গত ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯৬০। আর এসময়ে ১৫ জনের মৃত্যুর কথা জনিয়েছিল স্বাস্থ্য বিভাগ।
কিন্তু দক্ষিণাঞ্চল যুড়ে করোনা ভাইরাস দাপিয়ে বেড়ালেও ভেক্সিন নিয়ে জনমনে উদাশীনতার সাথে তা প্রয়োগেও তেমন কোন তৎপড়তা নেই। সোমবার বরিশাল মহানগরীতে ৭২ জন সহ দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার ৪২টি উপজেলাতে মাত্র ৭৬২ জন করোনা ভেক্সিনের প্রথম ডোজ গ্রহন করেছেন। ফলে এ অঞ্চলে ৭ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ডোজ গ্রহনকারীর সংখ্যা দাড়াল সর্বমোট ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭০৫ জনে। আর সোমবারে ৫ হাজার ৮৪৬ জন সহ এ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করেছেন সর্বমোট ৬৬ হাজার ৭৪ জন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন