শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আ.লীগ দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

দোকান ও বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ৬:৫৯ পিএম

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রুপের সাথে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের সংঘর্ষ। এ ঘটনায় সাধারণ সম্পাদক গুরুতর আহত হয়েছেন। সোমবার (১৯ এপ্রিল) কুষ্টিয়ার কুমারখালী জগন্নাথপুর ইউনিয়নে চর জগন্নাথপুর ব্রিজ এলাকার উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ খান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আল আজম হান্নান গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আল আজম হান্নান গুরুতর আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীদের সূত্রে যানা যায়, কুষ্টিয়ার কুমারখালী জগন্নাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ খান সকালে দুই মোটরসাইকেলে চারজন মিলে চর জগন্নাথপুর এলাকার যাওয়ার সময় চর জগন্নাথপুর ব্রিজ এলাকার জগন্নাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আল আজম হান্নান ও আব্দুল্লাহ্ আল বাকি বাদশার নেতৃত্বে ৮/৯টি মোটরসাইকেলে ১৭/১৮ জন লোক এসে ফারুক আহমেদ খানকে ও তার পরিবার নিয়ে অশ্লীলভাষায় গালাগাল করতে থাকে এর এক পর্যায়ে ফারুক খান এর প্রতিবাদ করায় তার ওপর ফারুক আল আজম হান্নান ও আব্দুল্লাহ্ আল বাকি বাদশারসহ তার লোকজন চড়াও হয় ফারুক আহমেদ খান অবস্থা বেগতিক দেখে লোকজন নিয়ে ফারুক আহমেদ খান একই ইউনিয়নের তার গ্রামের বাড়ি মহেন্দ্রপুরের ফিরে আসে। পরবর্তীতে ফারুক খানের আত্মীয় স্বজন ও ফারুক আহমেদ খান সমর্থকরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ঘটনাস্থলে ফারুক আল আজম হান্নান ও আব্দুল্লাহ্ আল বাকি বাদশাকে ঘিরে ফেলে এসময় ফারুক আহমেদ খানের সমর্থকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ফারুক আল আজম হান্নানকে মারধর করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় হান্নানকে উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

এদিকে হান্নান প্রোফেসরকে মারধরের খবরে তার সমর্থকরা একই ইউনিয়নের হাসিমপুর বাজারের ফারুক খান সমর্থক নূর আলম জিকুর তিনটি দোকানে ভাঙচুর চালিয়ে লুটপাট করে এবং একই এলাকার আমিরুলের বাড়িতেও হামলা চালিয়ে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতি করে।

এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ খান বলেন, সকালে চর জগন্নাথপুর এলাকার এলজিএসপির কাজের নেমপ্লেট ভেঙে ফেলার খবর পেয়ে দুই মোটরসাইকেলে চারজন মিলে সেই বিষয়টি দেখতে যাচ্ছিলাম পথিমধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হান্নান ও বাদশার নেতৃত্বে ৮টি মোটরসাইকেলে ১৭/১৮ জন লোক এসে অশ্লীলভাষা আমাকে ও আমার পরিবার নিয়ে গালাগাল করতে থাকে এবং আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে চড়াও হয় অবস্থা বেগতিক দেখে এবং আমার লোকজন কম থাকায় আমি ওই এলাকা থেকে ফিরে চলে আসি। পরবর্তীতে আমার আত্মীয় স্বজন খবর পেয়ে ছুটে এসে হান্নানকে মারধর করেছে বলে শুনেছি। মারধরের সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না।

এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আল আজম হান্নানের সাথে যোগাযোগ করতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান বলেন, জমিজমা মাপজোককে কেন্দ্র করে একটা ঝামেলা হয়েছে জগন্নাথপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সাথে। আমরা শুনেছি প্রোফেসর হান্নানকে তারা মেরেছে। তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠানো হয়।তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন