চলমান লকডাউনে কর্মহীন ১২শ’ পরিবহন শ্রমিকের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব ও এনা ট্রান্সপোর্ট লিমিডেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। মালিক হয়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য পরিবহন শ্রমিকরা খন্দকার এনায়েত উল্যাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। একই সাথে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, দুর্দিনে শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা কই? তাদের দেখা নেই কেন?
রোববার সকালে নগরীর মহাখালী বাস টার্মিনালে মালিক সমিতির মহাসচিব তার নিজস্ব তহবিল থেকে খাদ্যসামগ্রী সামগ্রী বিতরণ করেন। বিতরণকৃত খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে চাল, আলু, তেল, ডাল ও পিঁয়াজ রয়েছে। অনুষ্ঠানে খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে সকল গণপরিবহণ বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় দেশের সকল পরিবহন মালিক, মালিক সমিতি, পরিবহন কোম্পানির নেতাদের অনুরোধ জানিয়ে বলতে চাই, আপনারা সবাই এসব পরিবহন শ্রমিকদের এমন দুর্দিনে নিজ নিজ জায়গা থেজে এগিয়ে আসুন। এসব অসহায় পরিবহন শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ান। আমি নিজ উদ্যোগে অল্প পরিসরে আজ থেকে শুরু করেছি। ১২শ’ কর্মহীন শ্রমিকের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি। আপনারাও শুরু করে তাদের পাশে দাঁড়ান। আমরা সবাই যদি এগিয়ে আসি তাহলে তারা কেউ না খেয়ে থাকবে না। আমি আশা করবো সকল শ্রমিক ইউনিয়নও এই দায়িত্ব পালন করবে। আলাপকালে কয়েকজন শ্রমিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন শ্রমিকদের কল্যাণবাবদ চাঁদা আদায় করে থাকে। সেই চাঁদার টাকা কোথায় যায়? সাবেক মন্ত্রী ও সরকারদলীয় একজন এমপিকে ইঙ্গিত করে আরেক শ্রমিক বলেন, উনি বড় বড় কথা বলেন। কিন্তু দুর্দিনে ওনাকে শ্রমিকদের পাশে দেখা যায় না। গত বছর লকডাউনের সময়ও ক্ষুধার জ্বালায় আমাদেরকে রাস্তায় নামতে হয়েছে। তখনও ওইসব নেতাদের দেখা মেলেনি। খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা জেলা বাস-মিনিবাস সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাদিকুর রহমান হিরু, কার্য্যকরী সভাপতি ওসমান আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল্লাহ সদু, মহাখালী বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মো আবুল কালাম, সহ-সভাপতি শওকত আলী বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মালেক প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন