শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

৬ শিল্প এলাকায় ৬৩০ কারখানা বন্ধ

করোনার প্রভাব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০০ এএম

করোনায় বিপর্যস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখা তৈরি পোশাক শিল্প। করোনার প্রথম ঢেউ কাটিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন দেশে নতুন করে লকডাউন আবারও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বলে মনে করছেন রফতানিকারকরা।

তাদের মতে, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে পোশাক কারখানাগুলো একের পর এক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বৈশ্বিক পোশাক আমদানি ২৩ শতাংশ কমে যায়। দেশে দেশে করোনালকডাউনের কারণে মানুষ পোশাক কেনা কমিয়ে দেয়। ফলে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে জমে পোশাকের স্তুপ। এতে অনেক ব্র্যান্ড কারখানাগুলোর আগের কার্যাদেশ বাতিল করে, অনেকে দামও কমিয়ে দেয়। সূত্র মতে, দেশের শিল্প অধ্যুষিত ৬টি এলাকায় করোনার কারণে ৬৩০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। এই ছয়টি এলাকা হলো আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও খুলনা। এসব অঞ্চলে মোট কারখানা রয়েছে ৭ হাজার ৯৮২টি।
ছয় শিল্প এলাকায় শুধু পোশাক খাতের কারখানা আছে ২ হাজার ৩৮৬টি। এ খাতেরই ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ বস্ত্র শিল্পের কারখানা আছে ৩১৫টি। এছাড়া বেপজার আওতায়ও আছে বস্ত্র ও পোশাক খাতের কারখানা।

শিল্প পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী- ছয় শিল্প এলাকায় মোট ৭ হাজার ৯৮২টির মধ্যে পোশাক খাতকেন্দ্রিক মোট কারখানার সংখ্যা ২ হাজার ৭০১। বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বেপজার আওতাভুক্ত বস্ত্র ও পোশাক কারখানার বাইরে চামড়াজাত পণ্য, আসবাব, মোবাইল ফোন, ওষুধসহ সব মিলিয়ে অন্যান্য কারখানা আছে ৪ হাজার ৮১৬টি।

সংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর মার্চে করোনা শনাক্তের পর করোনার সময়ে এসব কারখানা বন্ধ হয়েছে। আর শিল্প পুলিশের সবশেষ হিসাব বলছে, বর্তমানে বন্ধ রয়েছে ৬শ’র বেশি কারখানা।

তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, প্রথম ঢেউয়ের অভিঘাত পোশাক খাত কাটিয়ে উঠলেও তা ছিলো সাময়িক। এবার করোনার ভয়াবহতা অনেক বেশি। তাই আগামী মে মাসে গিয়ে শতকরা ৩০ ভাগ অর্ডার হারানোর আশঙ্কা আছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন