আগামী শুক্রবার থেকে ব্রিটেনে ভ্রমণের ‘লাল তালিকায়’ যুক্ত হচ্ছে ভারতের নাম। তার আগেই হাজার হাজার মানুষ ভারত থেকে ইংল্যান্ডে চলে যেতে পারে। যার ফলে সেখানে করোনার ভারতীয় স্ট্রেন ঢুকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর ফলে করোনার বিস্তার ঠেকাতে খুব ধীরে ধীরে কাজ করছে বলে সমালোচিত হচ্ছে বরিস জনসনের সরকার।
জনসনের ভারত সফর বাতিলের পরেই সে দেশে ভারতীয়দের পা রাখায় নিষেধাজ্ঞা চাপায় ব্রিটেন। সোমবার ব্রিটেনের পার্লামেন্টে এই ঘোষণা করেছেন সে দেশের স্বাস্থ্যসচিব ম্যাট হ্যানকক। আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এই আবহে ভারত থেকে কোনও যাত্রী ব্রিটেনে ঢুকতে পারবেন না বলে জানিয়েছে সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়। তবে ভারত থেকে কোনও আইরিশ তথা ব্রিটিশ নাগরিকেরা সে দেশে গেলে, এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন না। যদিও ভারতের উপর এই নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন ওই নাগরিকেরা ব্রিটেনে পা রাখলে তাদের মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করে বাধ্যতামূলক ভাবে ১০ দিনের কোয়রান্টিনে থাকতে হবে।
সোমবার ব্রিটেনের পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ হাউস অব কমন্স-এ দাঁড়িয়ে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানিয়েছেন হ্যানকক। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের নাগরিকদের উপরেও একই নিষেধাজ্ঞা বহাল করা হয়েছে। ব্রিটেনে সফরের বিধিনিষেধ আরোপ করে এ সব দেশের নাগরিকদের লাল তালিকায় রাখা হয়েছে। সম্প্রতি ব্রিটেনে করোনার ভারতীয় প্রজাতির ১০৩টি সংক্রমণের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সে কারণেই ভারতীয়দের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন