গাজীপুরের শ্রীপুরে মুলাইদ গ্রামের আমতলা এলাকায় এক গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিককে গণধর্ষণের অভিযোগে গতকাল শ্রীপুর থানায় মামলা রুজু হয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার মুলাইদ গ্রামের নজুম উদ্দিনের ছেলে মিজান ফকির, একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে সুলতান উদ্দিন, সুরুজ মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন সুবল ও রানা। এছাড়াও আরও অজ্ঞাত একজনকে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত সুলতান উদ্দিনকে পুলিশ আটক করলেও অন্যরা পলাতক। অভিযুক্তদের মধ্যে সাদ্দাম হোসেন সুবল ও রানা স্থানীয় এএসআর কম্পিউটার জ্যাকার নামক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম সারোয়ার বলেন, নির্যাতিতা শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের একটি বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করেন। গত শনিবার গভীর রাতে বাড়ির মালিক তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে গভীর রাতে রাস্তায় তাকে ঘুরতে দেখে মিজান ফকির তার বাড়িতে আশ্রয় দেয়ার কথা বলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে এই কক্ষেই অন্য অভিযুক্তরা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পরদিন দুপুরে কক্ষ থেকে বের করে দেয়। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখ ও একজনকে অজ্ঞাত উল্লেখ করে থানায় মামলা রুজু হয়েছে। একজন আটক রয়েছে। নির্যাতিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন