লকডাউনের মধ্যে বাংলাদেশ শিল্প মালিক ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সেইসঙ্গে ৭ এপ্রিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্বাচন প্রক্রিয়া চলমান রাখার অনুচ্ছেদটি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না-তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। এফবিসিসিআইয়ের জেনারেল বডির এক সদস্যর দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি সরদার রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের অবহিত করেছেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী। ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী বলেন, গত ৭ এপ্রিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠনের পরিচালক কর্তৃক ৭ এপ্রিল জারিকৃত নোটিশে বলা হয়, যে সকল বাণিজ্যিক সংগঠন তফসিল ঘোষণা করেছে তা নির্বাচন প্রক্রিয়া চলমান রাখতে পারবে।
করোনার মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া চালু রাখতে বাণিজ্য সংগঠনের পরিচালকের জারি করা এই নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন এফবিসিসিআইয়ের জেনারেল বডির সদস্য আমির উদ্দিন দিপু। এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে তিনি একটি আবেদনও করেছিলেন। সেটিও রিটে সংযুক্ত করা হয়। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৯ এপ্রিল পৃথক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এফবিসিসিআই’র ভোটার তালিকা কেন বাতিল করা হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেন একই আদালত। ‘বাংলাদেশ ফুড স্টাফ ইমপোর্টার অ্যান্ড সাপ্লায়ার অ্যাসোসিয়েশন’র সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন এ রিট করেন। রিটে তিনি উল্লেখ করেন, স¤প্রতি এফবিসিসিআই একটি ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে, যাতে তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে। এ কারণে বাণিজ্য বিধিমালা ১৯৯৪ অনুযায়ী তাদের কাছে আমরা একটি দরখাস্ত দেন। কিন্তু এফবিসিসিআই তাতে কোনো সাড়া দেয়নি না। শুনানি শেষে আদালত পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে দাখিল করা দরখাস্ত নিষ্পত্তি করতে এফবিসিসিআইকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রুল জারি করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন