এবার আইনজীবীর সঙ্গে বিতন্ডায় জড়ালেন পুলিশ সদস্য। গত সোমবার ঢাকা সিএমএম আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। সেই বিতন্ডার ভিডিও ক্লিপটিও ভাইরাল হয়েছে গত দু’দিনে।

১ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের ক্লিপে দেখা যায়, সিএমএম আদালত চত্বরে প্রবেশের মুখে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন অ্যাডভোকেট নারগিস পারভীন মুক্তি। কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য মুক্তির পরিচয় জিজ্ঞেস করেন। এ সময় অ্যাডভোকেট মুক্তি বলেন, আপনি দেখেন না আমি কে? আমার গলায় আইডি কার্ড রয়েছে। আপনি সিএমএম-এর কাছে জিজ্ঞেস করেন। পুলিশ : আপনি মুখ দিয়ে বলেন। আমি সিএমএম-এর কাছে কী জিজ্ঞেস করব?
আইনজীবী : আপনি বুঝছেন না আমি আইনজীবী। আমার গলায় কার্ড আছে।

পুলিশ : আপনার কার্ডটা কী আপনি বলেন?
আইনজীবী : আপনি দেখলেন না আমি আইনজীবী।
পুলিশ : আপনি আইনজীবী আমি কেমনে বুঝব?

আইনজীবী : কেন আপনি বুঝতে পারছেন না আমি আইনজীবী?
পুলিশ : আপনি এত উত্তেজিত হচ্ছেন কেন? চিল্লান কেন বাবা?
আইনজীবী : আমি বলছি আমি আইনজীবী। শারীরিকভাবে সুস্থ না। আমি অসুস্থ। তারপরেও আমার সাথে তর্ক করছেন।

এরপর আরেক আইনজীবী এসে বলেন, উনি এখানের সিনিয়র আইনজীবী। আমাদের ভার্চুয়াল কোর্ট চলছে। এরপর একাধিক আইনজীবী এসে ঘটনার রেশ টানেন।

পুলিশের সঙ্গে বাগবিতন্ডার প্রসঙ্গে আইনজীবী নারগিস পারভীন মুক্তি সাংবাদিকদের বলেন, আমি গত সোমবার ভার্চুয়াল কোর্টে শুনানির জন্য বাসা থেকে বের হই। আমাকে একবার পোস্তগালা ব্রিজের সামনে পুলিশ সিএনজি অটোরিকশা থেকে নামিয়ে দেয়। তারপর আমি অনেক পথ হেঁটে রিকশা নিয়ে রায় সাহেব বাজারের সামনে এলে আবারও রিকশা থেকে নামিয়ে দেয় পুলিশ। এরপর হেঁটে সিএমএম আদালতের মেইন গেটের সামনে আসি। তখন আমাকে ভেতরে ঢুকতে দেয় না পুলিশ। জিজ্ঞেস করে আমি কে? অথচ আমার গলায় আইনজীবীর আইডি কার্ড। আমি ওই পুলিশকে বারবার বললাম আমি আইনজীবী। আমার গলায় আইডি কার্ড রয়েছে। তাছাড়া আমি অসুস্থ, অনেক পথ হেঁটে এসেছি। তারপরও আমাকে এভাবে তর্কে জড়ালেন।’

তিনি আরো বলেন, আমাদের আদালত ভার্চুয়াল হলেও আদালতের পেপারস, ডকুমেন্টস শারীরিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে আদালতে জমা দিতে হয়। সে ক্ষেত্রে আমাদের আদালতে যেতে হয়। আমার প্রশ্ন, আইনজীবীদের আইডি কার্ড সঙ্গে থাকার পরেও পুলিশ কেন এত হয়রানি করবে?’

এদিকে, গত ১৯ এপ্রিল রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে সরকারি বিধিনিষেধের পঞ্চম দিনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে বাগবিতন্ডায় জড়ান চিকিৎসক, ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তা। এদিন দুপুরে তিন পক্ষের বাগবিতন্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই ভাইরাল ভিডিও পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা-সমালোচনা চলছে।