পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়ার পাশাপাশি স্যালাইনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুসহ ২ শতাধিক নারী-পুরুষ ডায়েরিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালে বেডের অভাবে অনেক রোগী মেঝেতে আশ্রয় নিয়েছে। হঠাৎ করে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। প্রচন্ড গরম, দূষিত পানি পান করা এবং জন সচেতনতার অভাবে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ।
মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে ২ শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেলেও হাসপাতাল ও বাজারে তীব্র স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে। মঠবাড়িয়া পৌর শহরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারের ফার্মেসী গুলো স্যালাইন শূণ্য হয়ে পরেছে। মাঝে মাঝে ২/১টি পাওয়া গেলেও তা অগ্নি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। পৌর শহরের বাশার মেডিকেল হলের স্বত্তাধিকারী মোঃ আবুল বাশার জানান, ওষুধ কোম্পানি গুলো পর্যাপ্ত স্যালাইন সরবরাহ করতে না পারায় বাজারে স্যালাইনের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
এদিকে উপজেলার ইউনিয়ন স্বাস্থ কেন্দ্র গুলোতে খাবার স্যালাইনেরও সংকট দেখা দিয়েছে। মিরুখালী ইউনিয়ন স্বাস্থ কেন্দ্রের সহকারী মেডিকেল অফিসার ডাঃ শফিকুল ইসলাম জানান, তার স্বাস্থ কেন্দ্রের জন্য ১০ হাজার খাবার স্যালাইনের চাহিদা দিলেও পেয়েছেন মাত্র ২০০ টি।
এব্যাপরে উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আলী হাসানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফেরদৌস ইসলাম স্যালাইন সংকটের কথা স্বীকার করে জানান, কোন কোন ডায়রিয়া রোগীর ১০/১৫ টি স্যালাইনের দরকার হলেও আমরা মাত্র ১টি দিয়ে সহায়তা করতে পারছি। তিনি আরও জানান, প্রচন্ড গরম, দূষিত পানি পান এবং সচেতনতার অভাবে ডায়রিয়ার রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। এসময় তিনি সকলকে পানি ফুঁটিয়ে বিশুদ্ধ করে পান এবং চলমান মহামারী করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন