বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বরিশালে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের টিসিবি’র ডিলার নিয়োগের অভিযোগ

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২১ এপ্রিল, ২০২১, ৫:৪৪ পিএম

বরিশালে টিসিবি’র ডিলার নিয়োগের বিষয়ে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। রাষ্ট্রীয় এ বাণিজ্য সংস্থাটির ভোগ্যপণ্য বিক্রির ডিলার নিয়োগের আগে জেলা প্রশাসন থেকে ব্যাবসায়ীদের মুদিÑমনোহারির দোকান সহ চলমান বাবসা প্রতিষ্ঠান সরেজমিনে তদন্ত করার কথা। কিন্তু স্থায়ী দোকানঘর নেই অথচ কাগজ-কলমে মুদী-মনিহারি ব্যবসায়ী এমন ব্যক্তিদের ডিলার নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যা সরকারী নীতিমালা পরিপন্থী বলে জানা গেছে। এমনকি রাজনৈতিক বিবেচনাতেও টিসিবি’র ডিলার নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে। ফলে এবার বেশ কিছু ডিলার টিসিবি পণ্য কালোবাজারে বিক্রী করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

টিসিবির পণ্য সরাসরি ক্রেতাদের কাছে বিক্রির জন্য বরিশাল মহানগরীতে ৭০ জন সহ জেলায় ১০৭ জন ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এসব ডিলারদের মাধ্যমেই বরিশাল মহানগরীতে প্রতিদিন ৮টি ট্রাকে বিভিন্ন পণ্যবিক্রী কার্যক্রম চালু করলেও ইতোমধ্যে পেয়াঁজ, ছোলাবুট ও খেজুর বিক্রী শেষ হয়ে গেছে। বরিশাল মহানগরীর বাইরে প্রতিটি জেলায় ২টি ও জেলা সদরের বাইরে দুটি উপলোতে ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রী করছে টিসিবি।

কিন্তু স্থায়ী মুদি মনোহারি ব্যবসায়ীরাই টিসিবির ডিলার হিনেবে নিয়োগ পাবেন এমন শর্ত নীতিমালায় উল্লেখ থাকলেও বরিশাল মহানগরে কমপক্ষে ২৫ জন ডিলার আছেন যারা প্রকৃত মুদি মনোহারি ব্যবসায়ী নন। তাদের কোথাও কোন দোকান ঘর পর্যন্ত নেই। শুধুমাত্র একটি ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে নানামুখী তদবিরে ডিলার নিয়োগ হয়েছেন। সম্প্রতি এরকম দুজন ডিলার চিহ্নিত করে তাদের পণ্য সরবরাহ স্থগিত রাখেন বরিশাল টিসিবি কর্তৃপক্ষ।

বরিশাল টিসিবি-ওএমএস ডিলার কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, টিসিবির ডিলার নিয়োগের প্রধান শর্ত হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির স্থায়ী দোকান ঘর থাকতে হবে। দুটি কারনে এ নিয়ম রাখা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এবং ট্রাকে ভ্রাম্যমান বিক্রি বন্ধ থাকলে ওই ডিলার যাতে নিজ দোকান ঘর থেকে ভোক্তাদের কাছে পণ্য বিক্রী করতে পারেন। মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, বরিশাল টিসিবিতে অন্তত ২৫ জন ডিলার রয়েছেন যাদের দোকান ঘর নেই। তারা রহস্যজনকভাবে ডিলারশিপ পেয়েছেন এবং বিক্রির জন্য তাদের নিয়মিত পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে ।

বরিশাল টিসিবি-ওএমএস ডিলার কল্যাণ সমিতির এনামুল হক বলেন, ভ্রাম্যমান বিক্রীর পর অবিক্রীত পণ্য সংশ্লিষ্ট ডিলার তার নিজ দোকান ঘরে বিক্রি করার নিয়ম রাখা হয়েছে। যেসব ডিলারের নিজস্ব দোকান ঘর নেই তারা নিশ্চিত ওই পণ্য কালোবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন।

নীতিমালা ভেঙ্গে কিছু সংখ্যক ডিলার নিয়োগ হতে পারে এমনটা স্বীকার করে টিসিবি’র বরিশাল অফিস প্রধান মো. শহিদুল ইসলাম বলেছেন, চার মাস আগে তিনি বরিশালে যোগদান করেছেন। সম্প্রতি তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। কয়েকজন ডিলারের অব্যবসায়ীমূলক আচরন দেখে তিনিও বুঝতে পেরেছেন এরা আসলে মৌসুমী ব্যবসায়ী। এসব ডিলাররা ক্রেতাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরন করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, ঈদ উল ফিতরের পর কমিটি গঠন করে যেসব ব্যবসায়ীদের স্থায়ী দোকান ঘর নেই সেগুলো চিহ্নিত করা হবে। পরবর্তীতে তাদের ব্যাপারে টিসিবি’র প্রধান কার্যালয়কে অবহিত করা হবে বলেও জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন