কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৫০৭ জন। একইসময়ে আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছে ১১ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী।
কক্সবাজারস্থ শরনার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী ডা. আবু মোহাম্মদ এইচ তোহা ভূইয়া এ তথ্য জানিয়েছেন। তাঁর মতে পর্যাপ্ত সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নেয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তুলনামূলকভাবে সংক্রমণ কম হয়েছে।
একইসময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে কক্সবাজার জেলার স্থানীয় নাগরিক মারা গেছে ৭৯ জন। অর্থাৎ ১১ জন রোহিঙ্গা শরনার্থী সহ গত ১৩ মাসে করোনা আক্রান্ত হয়ে কক্সবাজার জেলায় মারা গেছে মোট ৯০ জন।
ডা. আবু মোহাম্মদ এইচ তোহা ভূঁইয়া জানান, ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে মোট ৩৬ হাজার ৬৬৪ জন রোহিঙ্গা শরনার্থীর নমুনা টেস্ট করে এ ৫০৭ জনের রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
২০ এপ্রিল পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প সমুহের অভ্যন্তরে থাকা আইসোলেসন সেন্টার গুলোতে ৪৯ জন করোনা আক্রান্ত রোহিঙ্গা শরনার্থী আইসোলেসনে রয়েছে। জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে আরো ৫ জন করোনা আক্রান্ত রোহিঙ্গা শরনার্থী।
ডা. আবু মোহাম্মদ এইচ তোহা ভূঁইয়া আরো জানান, রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের অভ্যন্তরে ১৩ টি শারী আইসোলেসন সেন্টারে ৯৬৪ টি বেড রয়েছে। আরো ৩ টি শারী আইসোলেসন সেন্টার চালুর অপেক্ষায় আছে রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে। কোভিভ-১৯ প্রকোপের শুরু থেকেই রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প গুলোতে সংক্রমন প্রতিরোধে সর্বোচ্চ কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জরুরীভিত্তিতে করোনা সংক্রামণ প্রতিরোধক প্রোগ্রাম সমুহ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
রোহিঙ্গা শরনার্থীদের মাঝে বাংলাদেশ সরকার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জারীকৃত স্বাস্থ্যবিধি, বিধিনিষেধ মানানোর ব্যাপারে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এজন্য মাত্র ৬৫ হাজার একর পাহাড়ি ভুমিতে গাদাগাদি করে ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরনার্থী বসবাস করলেও সেখানে করোনা সংক্রামণ এখনো নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন